যেভাবে আটক হন ‘ক্যাসিনো সম্রাট’

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের পুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের মুনির চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে সহযোগী আরমানসহ আটক করেছে র‌্যাব। চলমান অভিযান শুরুর পর থেকে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ আখ্যা পাওয়া ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এই যুব নেতা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে ছিলেন।

সম্রাট ও আরমান, ফাইল ছবি

‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের’ ভিত্তিতে সম্রাট ও আরমানকে আজ রোববার ভোর ৫টায় আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।

র‌্যাব-১১ এর কুমিল্লা কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার প্রণব কুমার জানান, সম্রাটকে ধরতে শনিবার সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে ১২-১৪টি র‌্যাবের গাড়ি গ্রামটির আশপাশে অবস্থান নেয়। এরপর সেখানকার বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

স্থানীয় একজন প্রতিনিধি জানান, ফেনীতে জন্ম নেয়া সম্রাটকে আশ্রয় দেয়া মনির হোসেন একজন পরিবহন ব্যবসায়ী। তার বাড়িতেই সর্বশেষ আত্মগোপনে ছিলেন সম্রাট ও আরমান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল বলেন, মুনির চৌধুরী ফেনীর মেয়র আলাউদ্দিনের ভগ্নিপতি। আলাউদ্দিন এক সময় জাতীয় পার্টি করলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা।

স্থানীয় বাসিন্দাররা জানান, সম্রাট বাহিনীর সদস্য আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর মাধ্যমে মুনির চৌধুরীর বাড়িতে আশ্রয় নেন সম্রাট চৌধুরী। সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল তার।

প্রসঙ্গত, অবৈধ ক্যাসিনো চালানোসহ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে সম্রাটের বিরুদ্ধে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হলে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এমন প্রেক্ষাপটে সম্রাটের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয় এবং তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।