বাংলাদেশের উপকূলে ভারতের নজরদারি রাডার

নয়াদিল্লির ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল জোরদার করার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে নজরদারি রাডার বসাবে ভারত। ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার ৫ অক্টোবর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর ফলে ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল জোরদারে কানেকটিভিটি নেটওয়ার্ক করিডোর আরও বিস্তৃত করা ছাড়াও উপকূলীয় নজরদারি রাডার স্থাপন করার অনুমতি পায় ভারত। দিল্লির ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের সহায়ক ভূমিকা পালন করছে ঢাকা। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর

এতে আরও বলা হয়, উপকূলীয় নজরদারি ব্যবস্থা ভবিষ্যতে ভারত-বাংলাদেশ এর হোয়াইট শিপিং অ্যাগ্রিমেন্ট সইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সমুদ্রপথে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসী হামলার হুমকি মোকাবেলায় এবং চীনের বর্ধনশীল উপস্থিতি নজরদারিতে এটি কাজে আসবে।

শনিবার সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ ও ভারত। এর মধ্যে চারটি হচ্ছে- সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি স্ট্যান্টার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি), একটি চুক্তি এবং অপরটি একটি কর্মসূচির নবায়ন।

এগুলো হচ্ছে- সমুদ্র উপকূলে নজরদারি (কোস্টাল সারভেইলেন্স সিস্টেম-সিএসএস) বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক, ভারতের পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি সম্পর্কিত একটি এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) স্বাক্ষর এবং ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক।

এছাড়াও ভারত থেকে নেওয়া ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নের (এলওসি) বিষয়ে দুই দেশের মধ্যকার একটি চুক্তি, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমঝোতা স্মারক, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ে চুক্তি নবায়ন, যুব উন্নয়নে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ভারতের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর উভয়ের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে এসব স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লি পৌঁছান। টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই তার প্রথম দিল্লি সফর। তিনি ২০১৭ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ দিল্লি সফর করেন।