সম্রাটকে নিয়ে অভিযানে র‌্যাব

কুমিল্লা থেকে আটক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলস্থ ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয় অভিযান শুরু করেছে র‌্যাব। আজ রোববার দুপুর ১টায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলছে।

এর আগে আজ ভোর ৫টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের পুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের মুনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে আটক করা হয় সহযোগী আরমানসহ সম্রাটকে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে ঢাকায় র‍্যাব সদর দপ্তরে রাখা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা সোয়া ১টায় সাদা মাইক্রোবাসে করে আনা হয় কাকরাইলে।

এদিকে র‍্যাবের বেশ কয়েকটি টিম সম্রাটের শান্তিনগরের বাসা ঘিরে রেখেছে বলে জানা গেছে। সেখানেও তাকে নিয়ে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে সংস্থাটির সদস্যরা।

জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর প্রথম দিনেই যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন। এরপর গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে টানা ছয়দিন কাকরাইলে নিজ অফিসে অবস্থান নেন সম্রাট। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

কয়েকদিন আগেই সম্রাটের সকল ব্যাংক হিসাব তলব এবং তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সীমান্ত দিয়ে একাধিকবার পালিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি।

এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে সংগঠনটি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আটকের পর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের বহিষ্কার করা হয়।