বুলবুল-মামুনসহ আসামি ৩৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সংগঠনের নেতাকর্মী এবং ডাকসু ভবনে হামলার ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে। যার মামলা নং-৩৪। এতে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় নাম নেই কোনো ছাত্রলীগ নেতার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক রইচ উদ্দিন জানান, মামলায় নাম উল্লেখ করা আট আসামি হলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখার সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মাহিম ও মাহবুব হাসান নিলয়।

এর আগে রোববার দুপুরে ডাকসু ভবনে ঢুকে মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে ভিপি নুরদের ওপার হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। এতে সংগঠনটির একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল নেতৃত্ব দেন। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন ঢাবির সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা মারিয়াম জামান সোহান ও জিএস সিয়াম।

এ সময় ডাকসুতে ভিপি নুরের কক্ষের বাতি বন্ধ করে লাঠিসোটা দিয়ে নুরদের বেধড়ক মারধর করে হামলাকারীরা। দুজনকে ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। ডাকসুর ভেতরে ভাঙচুর ও বাইরে থেকে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়। এতে বাধা দিতে গেলে ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্যকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের মোবাইল পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়।

এ হামলায় ভিপি নুরসহ অন্তত ৩৪ জন আহত হন, যাদের মধ্যে নুর-ফাবারী-এপিএস সোহেল ও আমিনুলকে আইসেইউকে নেয়া হয়। পরে তাদের কেবিনে নেয়া হলেও আহত ৫ জনের উন্নত চিকিৎসায় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ঘটনার পরদিন গতকাল সোমবার মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ হামলায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসেন। এরপর দায়ের করা পুলিশের মামলায়ও আসামির তালিকায় কোনো ছাত্রলীগ নেতার নাম আসেনি।

এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।