বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

(১০ টা ১৫ মিনিট): ফাইনালের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে যুববিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলতে নেমেই শিরোপার স্বাদ পেলে বাংলাদেশ।

যে কোন পর্যায়ের ক্রিকেটে বাংলাদেশ পুরুষ দল এই প্রথম কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতল। এর আগে জাতীয় দল এশিয়া কাপের ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি।

ফাইনাল জিততে বাংলাদেশের যখন মাত্র ১৫ রান দরকার, তখন বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি থামলে বাংলাদেশের নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ২৬ বলে ৬ রান। তিন বল খেলেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ছয় রান তুলে ফেলে বাংলাদেশি যুবারা।

বাংলাদেশের ফাইনাল জয়ে বড় অবদান অধিনায়ক আকবর আলির। বিপদের মুখে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৩ রানে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তরুণ ক্রিকেটার। এছাড়া ৪৭ রান করেছেন পারভেজ হোসেন ইমন।

বৃষ্টির কারণে ফাইনাল বন্ধ (৯টা ৫৫ মিনিট): যুববিশ্বকাপের ফাইনালে জয় থেকে বাংলাদেশ যখন মাত্র ১৫ রান দূরে, তখন আকাশে বৃষ্টির আগমন। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ করে দিয়েছেন আম্পায়াররা। মাঠ থেকে দুদলের ক্রিকেটাররা যখন উঠে যাচ্ছিলেন তখন বাংলাদেশের স্কোর ৪১ ওভারে ১৫৩/৭। ৪২ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক আকবর আলি। তার সঙ্গে ৩ রানে আছেন রকিবুল ইসলাম। বৃষ্টির কারণে আজ আর খেলা মাঠে না গড়ালে ডিএলএস পদ্ধতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ।

বৃষ্টি নামলে বাংলাদেশ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন (৯টা ৩৯ মিনিট): যুববিশ্বকাপের ফাইনালে জয় থেকে বাংলাদেশ যখন মাত্র ৩০ রান দূরে তখন বিরুপ আচরণ শুরু করল প্রকৃতি। বাতাসের সঙ্গে দু-এক ফোটা বৃষ্টিও দেখা গেল। ওই সময় ইএসপিএন ক্রিকইনফো তথ্য দিল, এই অবস্থায় যদি বৃষ্টি নামে তবে ডিএলএস ম্যাথডে ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ। ৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৪/৭।

বাংলাদেশকে ৩৫ রান দুরে রেখে খুঁড়িয়ে ফিরলেন ইমন (৯টা ১৫ মিনিট): যুববিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের ১৭৭ রানের জবাব দিতে নেমে ভালোই এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ৫০ রান তুলে ফেলে জুনিয়র টাইগাররা। কিন্তু মাত্র ১৫ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। সেই ইমন আবারও মাঠে ফিরে দারুণ লড়াই করলেন।

খোঁড়াতে খোঁড়াতে অধিনায়ক আকবর আলির সঙ্গে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন ইমন। বাংলাদেশ জয় থেকে যখন ৩৫ রান দুরে তখন বিগশট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেছেন তরুণ বাঁ-হাতি ক্রিকেটার। ফেরার আগে ৭৯ বল খেলে ৪৭ রান করেছেন। ৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৩/৭। অধিনায়ক আকবর আলি ৩২ রানে ব্যাট করছেন।

হঠাৎ বড় বিপদে বাংলাদেশ (৭টা ৫৪ মিনিট): যুববিশ্বকাপের ফাইনালে দুর্দান্ত গতিতে এগুতে থাকা বাংলাদেশ হঠাৎ বড় বিপদে পড়েছে।  প্রথম উইকেট জুটিতে ৫০ রান তোলা বাংলাদেশ ১৫ রানের ব্যবধোনে চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছে।  তানজিদ হাসান, তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন বাংলাদেশের এই চার ব্যাটসম্যানকেই ফিরিয়ে দেন ভারতীয় লেগস্পিনার রবি বিষ্ণু। 

এদিকে, ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ইনস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন।  ইমন আবারও ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮৫/৪। 

যুববিশ্বকাপ: ওপেনিং জুটিতে ফিফটি (৭টা ১০ মিনিট): দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর যুববিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটাও দারুণ হয়েছে। দুই ওপেনার নাজমুল হাসান ইমন ও তানজিদ হাসান প্রথম উইকেটে ৫০ রান তোলেন। অবশ্য এরপর আর এগুতে পারেননি দুজন।

দলীয় ঠিক ৫০ রানের মাথায় হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেছেন তানজিদ হাসান। ২৫ বলে ১৭ রান করে ফিরেছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। ১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৪/১। ৩০ বলে ২১ রান করে অপরাজিত আছেন পারভেজ হোসেন ইমন।

বাংলাদেশের নাগালেই বিশ্বকাপ (৫টা ৩৬ মিনিট): প্রথমবারের মতো যুববিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে নেমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলাররা। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নিয়ে ভারতকে ১৭৭ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ১৭৮ রান করতে পারলেই স্বপ্নের বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পাবে বাংলাদেশ।

যেকোন পর্যায়ের বিশ্বকাপে এবারই প্রথমবার ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। ফলে ভারতকে হারাতে পারলে আজকের সফল্যটা স্বার্ণাক্ষরে লেখা থাকবে অনন্তকাল।

শুরু থেকেই ভারতীয়দের কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচায় একটি উইকেট তুলে নেয় জুনিয়র টাইগাররা। তবে যশস্বি জাসওয়াল একপ্রান্ত আগলে রেখে বুদ্ধিদিপ্ত ব্যাটিং করে চলেছিলেন। ১৫৬ রানের মাথায় শরিফুল ইসলাম সেই জাসওয়ালকে ফেরালে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে ভারতীয় ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৪৭.২ ওভারে গুটিয়ে যায় ভারত।

ভারতের পক্ষে জাসওয়াল ১২১ বলে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেক দাস ৯ ওভার বোলিং করে ৪০ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়েছেন। তানজিম হাসান সাকিব ৮.২ ওভারে ২৮ রান খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট। দশ ওভারে ৩১ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম।

দুর্বার বাংলাদেশ, দিশেহারা ভারত (৫টা ১৭ মিনিট): যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিং ফিল্ডিংয়ের সামনে রীতিমতো দিশেহারা ভারত। ১৭০ রানের মাথায় অষ্টম উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে যুব বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল।

ভারতীয়দের দিশেহারা ভাবটা দারুণভাবে ফুটিয়ে উঠল ইনিংসের ৪৩তম ওভারে। রাকিবুল ইসলামকে সফট হ্যান্ডে খেলে রান চুরি করে নিতে চেয়েছিলেন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জুড়েল। কিন্তু কোন মতেই রান হতো না বুঝে অপরপ্রান্তে ঠাই দাঁড়িয়ে থাকলেন রবি বিষ্ণয়। এদিকে, জুড়েল দৌড়ে চলে গেছেন অপরপ্রান্তে।

অর্থাৎ দুজনই তখন একপ্রান্তে! রান আউট। পরে দুই ওভারে আরও দুই উইকেট হারায় ভারত। রান আউট হয়েছেন রবি বিষ্ণয়। অভিষেক দাসের বলে বোল্ড হয়েছেন অথর্ব আঙ্কেলেকার। ৪৪.১ ওভারে ভারতের স্কোর ১৭০/৯।

বাংলাদেশি দাপট, ভারতের মেরুদণ্ড ভেঙে দিলেন শরিফুল (৪টা ৫৭ মিনিট): যুববিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই ভারতকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। এক যশস্বি জাসওয়াল ছাড়া ভারতের বাকি ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারেননি বাংলাদেশি বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। ৪০তম ওভারে সেই জাসওয়ালসহ আরও এক উইকেট তুলে নিয়ে ভারতীয় ইনিংসের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন দীর্ঘদেহী পেসার শরিফুল ইসলাম।

৪০ ওভারের পঞ্চম বলে জসওয়ালকে তানজিদ হাসানের ক্যাচ বানান শরিফুল। পরের বলে সিদ্ধেশ বীরকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন। ৪১ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৬১/৫। জসওয়াল ১২১ বল খেলে ৮৮ রান করে আউট হন। শরিফুল এখন পর্যন্ত ৭ ওভারে ২২ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট।

৯ রানের ব্যবধানে ভারতের দুই উইকেট পতন (৪টা ২২ মিনিট): যুববিশ্বকাপে ভারতকে কঠিন চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নিয়ে শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং করছেন বাংলাদেশি বোলাররা। শুরুতেই ভারতীয় ওপেনার সাক্সিনাকে ফিরিয়ে দেন অভিষেক দাস।

ভারত সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতেই আবারও জোড়া আঘাত হানে বাংলাদেশ। দলীয় ১০৩ রানের মাথায় তিলক ভার্মাকে (৩৮) ফিরিয়ে দেন সাকিব। এর ৯ রান পর ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গার্গকে (৭) ফেরান রাকিবুল হাসান। ৩৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১১৭/৩।

বাংলাদেশের জোড়া আঘাত (৪টা ১০ মিনিট): যুববিশ্বকাপে টস হেরে প্রথমে বোলিং করতে নেমে শুরু থেকেই ভারতকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ। ভারতীয় ইনিংসের ৮ রানের মাথায় বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন অভিষেক দাস। এরপর অনেকক্ষণ অবশ্য উইকেট পড়েনি। তবে ভারতের রানের চাকা সচল রাখতে দেয়নি বাংলাদেশি বোলাররা। 

২৯ ওভারের শেষ বলে ভারতীয় শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন তানজিম হাসান সাকিব। তিলক ভার্মাকে শরিফুল ইসলামের ক্যাচ বানান সাকিব। ৬৫ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন ভার্মা। ২৯ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১০৩/২।

যুববিশ্বকাপ: ২০ ওভারে ভারত ৬৩/১ (৩টা ৪০ মিনিট): যুব বিশ্বকাপে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারছে না ভারতীয় যুবারা। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৮ রান তুলতে পেরেছে ভারত। একটা উইকেটও হারায় তারা। পরে রানের গতি একটু বাড়লেও এখনো দাপট চলছে বাংলাদেশি বোলারদের। ২০ ওভার শেষে ভারতীয় যুবাদের স্কোর ৬৩/১। 

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে কাঁপছে ভারত (২টা ৪২ মিনিট): যুববিশ্বকাপে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নেমে দুর্দান্ত গতিতে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম ছয় ওভারে মাত্র আট রান খরচ করেছেন বাংলাদেশি দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। সপ্তম ওভারে আক্রমণে এসে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন অভিষেক দাস।

দারুণ এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দেন ভারতীয় ওপেনার বিদ্যানাশ সাক্সিনাকে। ৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৩/১।

যুববিশ্বকাপ ফাইনাল: ৩৬ বলে ভারতের সংগ্রহ মাত্র ৮ রান (২টা ৩৫ মিনিট): যুববিশ্বকাপের ফাইনালে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি। নিজের দলের বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়ে হয়তো ভালোই করলেন আকবর। প্রথম ৬ ওভারে বাংলাদেশি বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে মাত্র ৮ রান তুলতে পেরেছে ভারত।

এর মধ্যে পেসার তানজিম হাসান সাকিব তিন ওভারে মাত্র এক রান খরচ করেছেন। ওই রানটি এসেছে ওয়াইড থেকে। অপর পেসার তিন ওভারে দিয়েছেন সাত রান।

স্বপ্নের বিশ্বকাপে বোলিংয়ে বাংলাদেশ: যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি। এক পরিবর্তন নিয়ে আজ ফাইনালের একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ।

হাসান মুরাদের বদলে একাদশে ডাক পেয়েছেন অভিষেক দাস। অপরদিকে, অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে ফাইনাল খেলতে নেমেছে ভারত।

উল্লেখ্য, যুব বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ভারত। অপরদিকে, বাংলাদেশ এই প্রথম ফাইনাল খেলতে নেমেছে। তবে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে আছে বাংলাদেশের যুবারা। গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউট পর্বে উঠে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদাত হোসেন, শামিম হোসেন, অভিষেক দাস, আকবর আলি (অধিনায়ক), রাকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।