কয়েক মিনিটেই নাই ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের সঙ্গে করা মাইক্রোসফটের চুক্তির ওপর গতকাল বৃহস্পতিবার সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত। যে চুক্তিটি জয়েন্ট এন্টারপ্রাইজ ডিফেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার, জেইডিআই নামে পরিচিত। এ নিষেধাজ্ঞার কয়েক মিনিটের মধ্যেই শেয়ারবাজরে বড় ধাক্কা খায় মাইক্রোসফট। এক লাফেই মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টের শেয়ার দর হারায় ১ হাজার ৭০০ কোটি বা ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। খবর বিজনেস ইনসাইডার।

বিজনেস ইনসাইডার জানায়, শেয়ারবাজারে মাইক্রোসফটের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। বৃহস্পতিবারের ক্ষতিতে তাদের শেয়ারের দর ১৮৫ দশমিক ৪০ ডলার থেকে কমে দাঁড়ায় ১৮৩ দশমিক ১৬ ডলারে। এতে শেয়ারবাজারে মাইক্রোসফটের সম্পদ কমেছে ১ শতাংশ।

জেফ বেজোস আদালতে অভিযোগ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাক্তিগত ক্ষোভের কারণে ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পেন্টাগনের ক্লাউড চুক্তটি পায়নি অ্যামাজন।

১০ বছর মেয়াদি এই জেইডিআই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মার্কিন সামরিক কার্যক্রমকে ক্লাউড-ভিত্তিক করা। যাতে সহজেই তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।

এ চুক্তির প্রতিযোগিতায় অ্যামাজনকেই এগিয়ে রেখেছিলেন বিভিন্ন মার্কিন বিশ্লেষক। কারণ তাদের পরিষেবা পৃথিবীব্যাপী রাজত্ব করছে।

তাছাড়া সিআইএ’র মতো অন্যান্য মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলোকেও গোপনীয় সার্ভার সেবা দিচ্ছে অ্যামাজন। তবে শেষপর্যন্ত এ চুক্তিটি পায় বিল গেটসের প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট।

এ প্রসঙ্গে অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী বলেন, তার মালিকানাধীন মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের ওপর ট্রাম্প বরাবরই ক্ষুব্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সে ক্ষোভ থেকেই জেইডিআই চুক্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিনি।

আদালতে অভিযোগ দায়েরের সময় অ্যামাজনকে পূর্ব শর্ত হিসেবে ৪২ মিলিয়ন ডলার জমা দিতে হয়েছে। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে এই অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিপক্ষকে দেয়া হবে।

মামলা প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য না করলেও চুক্তি নিয়ে তারা বলেন, চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কিছুটা দেরি হওয়ায় তারা অসন্তুষ্ট। তবে তাদের বিশ্বাস কাজ শুরু হলে তারা ঠিকভাবেই তা এগিয়ে নিতে পারবে।