চীন: করোনামুক্ত হতে ইউরোপের দুই বছর লাগতে পারে

ইউরোপের দেশগুলোতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এমনকি মৃত্যুর দিক দিয়ে প্রথম প্রাদুর্ভাব হওয়া চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও পর্তুগালের মতো দেশগুলোতে প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ইউরোপকে কমপক্ষে আরো দুই বছর এভাবে ভাইরাসের মোকাবেলা করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন চীনের কোভিড-১৯ ক্লিনিকাল বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান ঝাং ওয়েনহং।

রোববার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি জার্মানির চীনা কনস্যুলেটে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের বিষয়ে আয়োজিত এক ভিডিও কনফারেন্সে ঝাং ইউরোপ সম্পর্কে এমন কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাস আসবে, আবার এক সময় চলেও যাবে। তবে ইউরোপকে পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবন-যাপনে ফিরে আসতে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগতে পারে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কম সময়ের মধ্যে গোটা বিশ্বকে এ সমস্যার সমাধান করতে হলে চীনের মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভাইরাস মোকাবেলায় চীন নববর্ষের ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছিল। যাতে শহরগুলো পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া যায়। এমনকি এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু বন্ধ ছিল।

ঝাং আরো বলেন, গোটা বিশ্বকে যদি অন্তত চার সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা যায়, তাহলে এ মহামারি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সারাবিশ্ব বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। এটি কল্পনাও করা যায় না। এমনকি ইউরোপও নয়।