করোনাভাইরাস: আশ্চর্যজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে বায়ুদূষণ

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। প্রাদুর্ভাব দমনে লকডাউন হয়ে আছে বিশ্বের অধিকাংশ শহর ও অঞ্চল। হোম কোয়ারেন্টাইনে গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ। কলকারখানাগুলো রয়েছে বন্ধ। এ অবস্থায় স্থবির বিশ্ব অর্থনীতি। তবে লোকজনের চলাফেরা এবং গাড়ি-ঘোড়া ও কলকারখানা বন্ধ থাকার সুবাদে বিশ্বে কমেছে বায়ুদূষণ। খবর সিএনবিসি।

সাম্প্রতি সময়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার নাম বেশ কয়েক বার শীর্ষে ছিল 

জানা যায়, বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ৪২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১০ লক্ষ মানুষ শুধু চীনের মারা যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সে পরিসংখ্যানে অনেক বড় একটি পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা গেছে চীনের হুবেই প্রদেশ ও ইতালির বাতাসে। এ ছাড়া ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাতাসেও।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি বলছে, গত দুই মাসে বাতাসে দূষণের পরিমাণ যতটা কমেছে তাতে এ বছর নির্দিষ্ট সংখ্যা থেকে অনেক কম মানুষ মারা যাবে। শুধু চীনেই ৫০ হাজার মানুষ কম মারা যাবে। সেইসঙ্গে গত দুই মাসে বিশ্বব্যাপী বাতাসে উপস্থিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমে গেছে। এতে প্রকৃতি যেন পেয়েছে নতুন রূপ।

কিছু দিন আগেও ঢাকা শহরের চিত্র ছিল এ রকম, যা এখন অনেকটাই কমে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন প্রকৃতিতে যে নির্মল বায়ু বিরাজ করছে। বিশ্বের দেশগুলো যদি অন্য সময়েও বিশুদ্ধ বায়ুর প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারে, তাহলে প্রতি বছর অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মকেও ভয়াবহ এই দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।