খুনি মাজেদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অন্যতম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন তার স্বজনরা। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর কারা কর্তৃপক্ষের আহ্বান করায় তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলার আসামি আবদুল মাজেদ

কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। এর ফলে তার ফাঁসি কার্যকরে কোনো বাধা না থাকা দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। সূত্র বলছে, ইতোমধ্যে ফাঁসির মঞ্চ ও ১০ জন জল্লাদকে প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, এখন তার ফাঁসি কার্যকরে কোনো বাধা নেই এবং যেকোনো সময় তা কার্যকর হতে পারে। তবে গতকাল পবিত্র শবেবরাতের রাত থাকায় তা কার্যকর করা যায়নি।

গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মিরপুর ১১ নম্বর থেকে আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার আদালতে হাজির করলে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াৎ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর পর দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয় আবদুল মাজেদকে। এ সময় আদালতে বিচারক এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও মামলার রায় পড়ে শোনান এবং মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। এর পরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন তিনি।

আবদুল মাজেদ বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধু হত্যার ছয় আসামির একজন। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় ও নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থায় করছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল রশীদ, মুসলেহউদ্দীন রিসালদার বিভিন্ন দেশে পলাতক আছেন।

আবদুল মাজেদের বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিনের বোরহানগঞ্জ এলাকায়।