করোনার আগের এবং পরের পৃথিবী এক থাকবে না। মানুষ বদলে যাবে, পাল্টে যাবে সামাজিক রীতি-নীতি, অভ্যাস-বদঅভ্যাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস বিদায় নেওয়ার পর সম্পূর্ণ অন্য এক পৃথিবীতে পদার্পন করতে যাচ্ছি আমরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিজ্ঞানী অ্যান্থনি ফাউসি তো এমনও বলেছেন, পৃথিবী হয়তো আর কখনো স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবে না। মানুষ ফিরতে পারবে না করোনার আগের জীবনে!

world after pandemic

চলুন দেখে নিই, কী কী ঘটতে যাচ্ছে করোনা-পরবর্তী পৃথিবীতে?

করমর্দন ও আলিঙ্গনের দিন শেষ

করমর্দন তো বটেই, পশ্চিমা উদার সমাজে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আলিঙ্গন একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। যদিও রক্ষণশীল চোখে পশ্চিমা এই ট্রেন্ডকে আমরা বরাবরের মতোই ভ্রু কুঁচকে দেখে আসছি। তবে এখন থেকে আর তা করতে হবে না। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, শেষ হতে চলছে করমর্দন ও আলিঙ্গনের যুগ। তার পরিবর্তে শুরু হবে সালাম অথবা নমষ্কারের মতো প্রথা। কিংবা শারীরিক সংযোগ না ঘটিয়ে অন্য কোনো অভিবাদন পদ্ধতি আবিষ্কার করবে মানুষ।

no handshake

ঘরে বসেই অফিস

সাধারণত অফিসের কাজকে বাসায় টেনে আনতে পছন্দ করেন না কেউই। কিন্তু সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস মানুষকে দিয়ে সেই কাজটিই করিয়ে নিচ্ছে অবলীলায়। শ্লোগান শুরু হয়েছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। শিক্ষার্থীরাও ক্লাস শুরু করে দিয়েছেন অনলাইনে। সাংবাদিকরা দিব্যি সাংবাদিকতা করছেন, ঘরে বসেই চলছে বহুজাতিক কোম্পানীগুলো। করোনা চলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে অফিসগুলো শতভাগ চাঙা হয়ে উঠবে? মোটেও না। গবেষকরা বলছেন, এই অভ্যাস পুরোপুরি উঠে যাবে না আর কখনোই।

কাজ করবে রোবট

এমনিতেই আগামী বিশ্বে রোবটের দৌরাত্ম্য নিয়ে বিস্তর কথা হচ্ছে। রোবটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমে কাজ হারাবে মানুষ, সে আশঙ্কা তো বেশ আগের। ২০২৫ সালের মধ্যে সারা পৃথিবীর শ্রমবাজারের অর্ধেকটা চলে যাবে রোবটের দখলে, এমন ভবিষ্যদ্বাণী করা ছিল করোনা আসার আগেই। তবে এই মহামারি এখনই মাঠে নামিয়ে দিচ্ছে রোবটকে। কারণ মানুষ মানেই এখন ঝুঁকি কিংবা অবিশ্বাস। হতেও তো পারে, শ্রমিকটি ঘুরে বেড়াচ্ছে কোনো ভাইরাসকে সঙ্গী করে, তারচে’ বরং রোবটই নিরাপদ!

robot worker

ফাঁকা পড়ে থাকবে পর্যটন কেন্দ্র

করোনার সংক্রমণে এখন ফাঁকা পড়ে আছে বিশ্বের সব পর্যটন কেন্দ্র। করোনা চলে গেলেও বহু বছর ধরে থেকে যাবে এর রেশ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে থাকবে স্পটগুলো। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যটন শিল্পের এই মন্দাবস্থা চলবে বহু বছর ধরে। কারণ মানুষের অবচেতনে থেকে যাবে করোনাভীতি। তাছাড়া মানুষ কিংবা প্রতিষ্ঠান, উভয়ের জন্যই করোনাকালের আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে লাগবে অনেক সময়, স্বাভাবিকভাবেই কমবে বাইরে বেরুনোর প্রবণতা।

করোনা-ফোবিয়া

পৃথিবীতে কত ফোবিয়াই তো আছে, নতুন করে যোগ হল করোনা-ফোবিয়া। যে হাঁচি-কাশি ছিল শরীরের স্বাভাবিক কাজ, সেটাকেই এখন মানুষ দেখবে তীব্র সন্দেহের চোখে। ভেবে বসবে, আপনি করোনার জীবাণু বয়ে বেড়াচ্ছেন। রেষ্টুরেন্টে বসে হাঁচি দিলে হয়তো অন্যরা উঠে যাবে সেখান থেকে। গণপরিবহনে এই কাজটি করলে আপনি হয়রানির শিকারও হতে পারেন!

fobia

মোদ্দাকথা, ভয়ংকর এক সামাজিক সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.