আপনি পড়ছেন

রাশিয়ার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সর্বশেষ সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে আড়াই হাজারের বেশি মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাশিয়ার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেলো।

vladimir putin thinking to deploy army to fight coronavirus

সম্প্রতি এক ভিডিও মিটিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এই মুহূর্তে রাশিয়ার উচিত তাদের সেনাবাহিনীর সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করা। তিনি দেশটির মন্ত্রীদের এই বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।

সোমবারের মিটিংয়ে পুতিন বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রতিদিনই পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে এবং দুঃখজনক হলো এই বদলে যাওয়া ইতিবাচক কিছু নয়। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অনেকের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। আগামী কয়েক সপ্তাহ খুবই বিপজ্জনক অবস্থা হতে পারে।”

নিজের বক্তব্যে ইতালিতে আর্মি মোতায়েন করার বিষয়টি উল্লেখ করে পুতিন বলেন, এবার রাশিয়াকেও তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার মোট মৃতের সংখ্যা এখনো দেড়শও পার হয়নি, যা ইতালি, ফ্রান্স বা স্পেনের তুলনায় খুবই কম।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিসংখ্যান নিয়ে রাশিয়ার খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ তারা আপাতত সংক্রমণের প্রাথমিক ধাপে আছেন। সামনে রাশিয়ার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

ambulances infront of russia hospitals

ইতোমধ্যেই রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের শহর মস্কোতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরো কয়েকটি শহরে চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করে লোকজনে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

রাশিয়া ইতোমধ্যেই লোকজনকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের জন্য ইলেকট্রিক একটি পদ্ধতি চালু করেছে। যদিও অনেকে প্রযুক্তিটি ত্রুটিতে পূর্ণ বলে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা এই অবস্থাকে সাইবার অ্যাটাক বলে অভিহিত করেছেন।

এ দিকে, দেশটির চিকিৎসকরা বলেছেন, তাদের হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যেই ধারণক্ষমতা পূরণ করে ফেলার কাছাকাছি চলে এসছে। বেশ কয়েকটি হাসপাতালের সামনে রোগী বহন করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সাজিয়ে রাখতে দেখা গেছে।

ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অবস্থা

রাশিয়া যখন সংক্রমণের প্রাথমিক ধাপে অবস্থান করছে, ইউরোপের কয়েকটি দেশ তখন লকডাউন শিথিল করার কথা চিন্তা করছে। যেমন ইতালিতে ২০ হাজার লোক মারা গেছেন। তারপরও দেশটি কোথাও কোথাও লকডাউন শিথিল করে দিচ্ছে। অস্ট্রিয়া কয়েক হাজার দোকান খুলে দিয়েছে। যদিও দুটি দেশেই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং অনুশীলন করার বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে।

ইতালি এবং অস্ট্রিয়ার সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে যে দেশ দুটিতে সংক্রমণের হার কমে আসছে এবং এতেই দেশ দুটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেমন উৎপাদন খাত, নির্মাণ খাত এবং আরো কিছু খাত।

জার্মানিতে তিন হাজারের বেশি লোক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর মধ্যেই দেশটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লকডাউন ভেঙে বের হওয়ার পথ খুঁজতে শুরু করেছে। অ্যাঙ্গেলা মার্কেল জানিয়েছেন, বুধবার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে একটা উপায় বের করার চেষ্টা করবেন তিনি।

ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলগুলোর মধ্যে নেদারল্যান্ডসে প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজারের বেশি। আর ফ্রান্স আরো চার সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে এবং ধর্মীয় কাজ সীমিত করার পূর্বের ঘোষণা আরো জোরালোভাবে আরোপ করেছে। এর মধ্যে একজন যাজককে জরিমানা করা হয়েছে এবং গীর্জাগামী অনেককে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.