সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন (এসইউটিডি) এর ডাটা ড্রিভেন ইনোভেশন ল্যাবে করা এক গবেষণায় বলা হয়, আগামী ১৫ জুলাইয়ের আগেই বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাবে। আর মে মাসের শেষ পর্যন্ত বিদায় নেবে ভাইরাসটির ৯৯ শতাংশ। কিন্তু এই গবেষণার সঙ্গে বাস্তবতার কতটুকু মিল রয়েছে তা কিন্তু অস্পষ্টই থেকে যায়।

corona virus dhaka new

এপিডেমিওলজি এবং ডাটা সায়েন্স যদি ফলো করা হয়, তাহলে দেখা যায় যে, এই গবেষণার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক বাস্তবতার পার্থক্য অনেক। কারণ সিঙ্গাপুর যে মডেলটি ব্যবহার করেছে তা একটি টয় মডেল। গবেষণাটি মূলত প্রাথমিক পর্যায়ের এবং পর্যালোচনাবিহীন। তাই মডেলটি অনুসরণ করলে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই মডেল অনুসরণ করে অঘোষিত লকডাউন তুলে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। কারণ দেশে ‘লকডাউনে’র কারণে কোভিড-১৯ বিস্তারের হার কমেছে ঠিকই। কিন্তু এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। মানুষের মধ্যে এখনো সচেতনতার অভাব রয়েছে।

যে কারণে এটি টয় মডেল

ভাইরাসটির সংক্রমণের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, প্রতিটি দেশেই এটি দুটি পর্যায়ে সংক্রমিত হচ্ছে। প্রথমটি লকডাউনের আগে সবাই উন্মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ানোর কারণে করোনা আশঙ্কাজনক হারে বিস্তার লাভ করেছে। আর লকডাউনের মধ্যে বিস্তারের হার কমেছে। তাছাড়া সিঙ্গাপুরের এই মডেলটি দুটি পর্যায়ের ক্ষেত্রেই একইভাবে ফিট করে।

বাংলাদেশে এখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ চলছে। অর্থাৎ ‘লকডাউনে’র কারণে এটির বিস্তার অনেকটাই কমেছে। উদাহরণ হিসেবে যদি ১৯১৮ সালের মহামারির দিকে তাকাই তাহলে দেখা যায়, সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপে প্রথম ধাপের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অন্যদিকে, সিঙ্গাপুরের মডেলটি দ্বারা দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের চিত্র ব্যাখ্যা করা অসম্ভব।

গবেষণাটি কী বলছে?

তাছাড়া গবেষণাটি প্রকাশকারী ওয়েবসাইটে স্পষ্টভাবে বলা আছে, এই মডেলটি কেবলমাত্র শিক্ষা ও গবেষণার উদ্দেশ্যে তৈরি। পাশাপাশি এটি প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি নির্ভুলভাবে অনুমান করতে সফল নয়। তাই এর ফলাফলের বিচারের হার পাঠকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এর ফলাফল নিয়ে অতি-আশাবাদী হওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই গবেষণা কাজে তারা যে মডেলটি ব্যবহার করেছে তা ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এসআইআর মডেল। এটি মহামারি অনুমানের ক্ষেত্রে খুবই প্রাথমিক একটি মডেল। তাছাড়া মডেলটি বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যার পার্থক্য এবং তাদের আচরণগত পার্থক্য অনুসরণ করে না। তাই চলমান এই সংকটে এই ধরনের গবেষণা বিপজ্জনকের পাশাপাশি অনৈতিকও।

বাংলাদেশের বাস্তবতা

এখন আমরা যদি প্রতিটি দেশের করোনা টেস্ট করার হারের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যায়, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে কম টেস্ট হয় বাংলাদেশে। প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে এই সংখ্যাটি মাত্র ৩৮ দশমিক ৪ জন। উন্নত দেশগুলোতে এই সংখ্যাটা ২ থেকে ৩ হাজার। আর প্রতিবেশী ভারতে এই সংখ্যাটা প্রতি লাখে ৬১ জন এবং পাকিস্তানে ৭৯ দশমিক ৫ জন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.