মসজিদে ডেঙ্গু সংক্রান্ত বার্তা প্রচারে ইফার অনুরোধ

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও চলছে করোনাভাইরাসের মহামারি। ইতোমধ্যে দেশে সাড়ে ১১ হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত এবং ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে, তখন চলে এসেছে বর্ষা মৌসুম। এই মৌসুমে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) সকল মসজিদে ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতামূলক বার্তা প্রচারের পরামর্শ দিয়েছে। আজ বুধবার ইফার এক সংবাদি বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, চলতি বর্ষা মৌসুমে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে গত বছরের ন্যায় এবারও এডিস মশার বংশ বিস্তারসহ ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছর ঢাকা মহানগরীসহ সমগ্র বাংলাদেশ ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে।

সরকারি তথ্যমতে, ২০১৯ সালে প্রায় লক্ষাধিক লোক ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। চলমান বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাসের সাথে যদি ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায় তাহলে জনজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিটি করপোরেশনের সচেতনতামূলক বার্তা সংযুক্ত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, বাসাবাড়ির ছাদ এবং আশপাশে যত্রতত্র পড়ে থাকা অব্যবহৃত পাত্র, ফুলের টব, টিনের কৌটা, পরিত্যক্ত গাড়ি/গাড়ির টায়ার, ডাবের খোসা/নারিকেলের মালা, দইয়ের হাড়ি, পরিত্যক্ত চৌবাচ্চা এবং নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চাসহ অন্যান্য স্থান/পাত্রে জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। এডিস মশার প্রজনন রোধ তথা ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে উল্লিখিত স্থানসমূহে যেন তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে নজর রাখা এবং এ সকল প্রজননস্থলসমূহ চিহ্নিত করে অপসারণ এবং ধ্বংস করতে হবে।

ইফার মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত বার্তায় জানানো হয়েছে, উপরোক্ত বার্তাটি প্রতিটি মসজিদে আজানের পূর্বে বা পরে অথবা সুবিধাজনক সময়ে মাইকে প্রচারের নিমিত্তে মসজিদের ইমাম বা খতিবদের নির্দেশনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।