কবে খুলবে স্কুল: যা করছে বিভিন্ন দেশ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজও। ভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করলে আবার সব খুলতে শুরু করবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কখন ও কীভাবে স্কুল কলেজ খোলা হবে।

সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্লাস হচ্ছে ডেনমার্কে

ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলো আগামী ১ জুন থেকে খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। শুরুর দিকে নার্সারি ও প্রাথমিক স্কুলগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।

যুক্তরাজ্য সরকারের লক্ষ্য প্রথমে প্লে থেকে হাইস্কুলে উত্তীর্ণ হবে এরকম শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠানো শুরু করা। কারণ তাদের শিক্ষকের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া ১০-১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য জুন মাসেই হাই-স্কুলগুলো খুলে দেয়া হবে বলে জানা গেছে। কারণ তাদের সামনের বছর বড় একটি পরীক্ষা আছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের ইচ্ছা গ্রীষ্ম শুরু হওয়ার আগেই তারা দেশের সব প্রাথমিক স্কুলগুলো খুলে দেবে এবং পরিস্থিতি বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখবে।

তবে যুক্তরাজ্যে সরকার এসব ইচ্ছা পোষণ করলেও ভিন্ন কথা বলছেন অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের মন্ত্রীরা।

দেশটির ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কির্সটি উইলিয়ামস বলেন, এখানকার স্কুলগুলো ১ জুন খুলবে না।

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মন্ত্রী নিকোলা স্টারগেওন বলেন, জুনের শেষে এখানকার স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মের ছুটি চলে। আমার মনে হয়না সে ছুটির আগে স্কুল খোলা সম্ভব।

লকডাউনে ফাঁকা লন্ডনের রাস্তা

যুক্তরাজ্য সরকার ও অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের মন্ত্রীদের বক্তব্যে ভিন্নতার কারণে দেশটির জনগণের মনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এসবের উত্তর নিয়ে এসেছে বিবিসি।

এই পরিস্থিতিতে সন্তানকে কী স্কুলে পাঠাতে হবে?

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সন্তানকে স্কুলে পাঠানো মো্টেই জরুরি কিছু নয়। এছাড়া স্কুলে না গেলে কোনো জরিমানাও গুণতে হবে না।

যদিও দেশটির সরকার থেকে শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছে যাতে করে তারা স্কুলের কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে পারে।

স্কুলগুলো এতোদিন কেন বন্ধ ছিল?

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকে বিভিন্ন গবেষক দাবি করছেন, এটি শিশুদের জন্য কম ঝুঁকির। তাই বিশ্বের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলমান মহামারির মধ্যেও খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে তা বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ব্রিটেন সরকারের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রিস উইট্টি বলেন, মরণঘাতী এই ভাইরাসটির জন্যে স্কুলগুলো খুব বেশি ঝুঁকিতে ছিল না। তবে সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ধীরিগতি করে দেয়ার জন্য।

প্রতীকী ছবি

অন্যান্য দেশেও কী একই অবস্থা?

ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ডেনমার্ক ১১ বছর বয়সের কম শিশুদের স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জার্মানিতে বাচ্চাদের জন্য স্কুলগুলো আংশিক খোলা হয়েছে। সেখানে তাদের পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে।

ফ্রান্সে চলতি সপ্তাহে প্রাথমিক স্কুলগুলো খুলে দেয়া হবে। যাদের বয়স ১১-১৫ বছর তারা স্কুলে আসতে পারবে। হাইস্কুলগুলো আগামী জুনে খোলা হবে। এতে করে ১৫-১৮ বছরের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে।

পরীক্ষার কী হবে?

ইংল্যান্ড, ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডে ইতোমধ্যে গ্রীষ্মকালীন পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ভিন্ন উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।