ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আগেই চলে যাবে করোনা!

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে দিনরাত কাজ করছেন গবেষকরা। তবে এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু এটি আবিষ্কারের আগেই ভাইরাসটি দুর্বল হয়ে পড়বে এবং মহামারির প্রাদুর্ভাব চলে যাবে বলে দাবি করেছেন ইতালির মিলানে অবস্থিত মারিও নেগরি ইনস্টিটিউট ফর ফার্মাকোলজিক্যাল রিসার্চের পরিচালক গিসেপ্পে রেমুজি।

প্রতীকী ছবি

তিনি বলেন, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষের দিকে। ভ্যাকসিনের আবিষ্কারের আগেই হয়তো এর কোনো সংক্রমণ থাকবে না। কারণ এর সক্রিয়তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

দেশটির বায়ো-মেডিকো ইউনিভার্সিটি অব রোমের অধ্যাপক ম্যাসিমো গিকোজ্জি বলেন, ভাইরাসটি শুরুর দিকে খুব তাণ্ডব চালায়, তারপর আসতে আস্তে দুর্বল হয়ে সংকমণ ঘটানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

ইতালির মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ভাইরোলজি ল্যাবের পরিচালক ম্যাসিমো ক্লেমেন্তি বলেন, প্রথমদিকে আমরা যেসব স্যাম্পল পেয়েছি তাতে দেখা গেছে, ভাইরাসগুলো খুবই সক্রিয়। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পরের নমুনায় থাকা ভাইরাসগুলো অতটা সক্রিয় না। সময় যত যাচ্ছে ভাইরাসের সক্রিয়তা ততই কমে যাচ্ছে।

বিভিন্ন মেডিকেল কমিউনিটির মতে, জনগণের মধ্যে যে ভাইরাস মহামারির সৃষ্টি করেছে, তা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। অনেক স্থানে লকডাউন শিথিল করার পর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রাদুর্ভাব বাড়ার শঙ্কা আছে। অনেকেই মনে করছেন জনজীবন সাধারণ পর্যায়ে আর হয়তো নাও ফিরতে পারে। তবে সবকিছু পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে ভ্যাকসিনের আবিষ্কারের পর।

প্রতীকী ছবি

মেডিকেল কমিউনিটির এসব মতবাদের সঙ্গে একমত হতে পারেননি রেমুজি। তিনি বলেন, আগের তুলনায় বর্তমানে যারা সংক্রমিত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে তীব্র লক্ষণগুলো নেই। এক মাস আগেই একজন সংক্রমিতকে আইসিইউতে নেয়াই লাগতো। এখন বেশিরভাগ রোগীই সাধারণ ওয়ার্ডে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছে।

তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে হয়তো একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। যার কারণে আগের মতো সংক্রমিত হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে না। এই নিয়ম চলতে থাকলে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আগেই সবার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে বিদায় নেবে ভয়ঙ্কর এই মহামারি।