বোঝা যাচ্ছে না, অথচ করোনার সুপ্ত উপসর্গ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সাধারণ তিনটি লক্ষণ হলো- সর্দি, জ্বর কাশি। বিভিন্ন দেশে এই লক্ষণগুলোর ওপর ভিত্তি করেই রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু ভাইরাসটির এর বাইরেও অনেক লক্ষণ আছে যা লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। সৌদি আরবের কয়েকজন রোগীর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এসব দাবি করছে আরব নিউজ।

প্রতীকী ছবি

প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই চিকিৎসকরা বলে আসছেন, মরণঘাতী এই ভাইরাস মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষতি করে। এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

বিভিন্ন গবেষণার বরাতে জানা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীই মৃদুভাবে আক্রান্ত হয় এবং কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে যায়।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ভাইরাসটির লক্ষণ হিসেবে তিনটি লক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জ্বর, কাশি এবং নিঃশ্বাস ছোট হয়ে যাওয়া।

এই ভাইরাসে বেশি সংক্রমিত হলে নিউমোনিয়া হওয়ার সুযোগ থাকে। সেইসঙ্গে আরো অনেক উপশমের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে। যারা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও ফুসফুসের নানা রোগে ভুগছেন তারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি আছে।

প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকেই নানা উপশম ও লক্ষণ নিয়ে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। সৌদি আরবেও এর ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। অনেকেই আছে, যারা সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেখানো লক্ষণগুলো না থাকা সত্ত্বেও ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রতীকী ছবি

সৌদি কূটনৈতিক বিভাগে কাজ করেন ৪৩ বছর বয়সী খুলুদ মুল্লাহ। ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় পরিবার থেকে আলাদা হয়ে আইসোলেশনে বাস করছেন।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যে কয়টি লক্ষণের কথা বলা হয়েছে আমার তার একটিও হয়নি। তারা বলেনি মাথা ঘোরানো, দুর্বল লাগা ও শরীর ব্যথা করাও ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার কয়েকটি লক্ষণ। এগুলো বেশ কয়েকদিন থেকেই আমার শরীরে দেখা যাচ্ছে। আমার ভাতিজিরও ওকই অবস্থা হয়েছে। মাথা ঘুরিয়ে সে অজ্ঞানও হয়েছে একবার।

তিনি আরো বলেন, মাথা এতো ঘোরায় যে, হাঁটতে হলে কোনো কিছু না ধরে হাঁটা যেত না। সব সময় শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করতো। বিছানা থেকে মাথা উঠিয়ে কোনো কাজই করা যেত না। সেইসঙ্গে আমার মাথাও অনেক ব্যথা করতো। এই ব্যথাটা অনেকটা মাইগ্রেনের মতো।

সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর ফাদওয়া আল-অফি বলেন, মাথা ঘুরানো ও শরীর ব্যথা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আংশিক লক্ষণ। এক এক রোগী এক এক রকমের লক্ষণ দেখছে। ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে, কারণ শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভিন্নতা আছে।