ভাইরাসের দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাব নিয়ে যা বলছেন এই বিশেষজ্ঞ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীন বেশ ভালোভাবেই সংক্রমণের মাত্রা থামাতে পেরেছে। সেখানে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন স্কুল ও কলকারখানা। আর এ কারণেই দেশটিতে দ্বিতীয় মাত্রায় ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চীনা শীর্ষ মেডিকেল উপদেষ্টা ডক্টর ঝং নানশান।

প্রতীকী ছবি

সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমরা জানি না মানুষের মধ্যে এর বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কি না। যারা একবার সংক্রমিত হয়েছে তাদের পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সুযোগও উড়িয়ে দেয়া যায় না।

তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার বিভিন্ন ঘটনা পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী থিওডের রুসোভেল্টে পুনরায় আটজন সেনার দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর ফলে দ্বিতীয়দফায় সেখানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এই মেডিকেল উপদেষ্টা বলেন, ডিসেম্বরে উহানে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেসময় পরিস্থিতি ঠিক কি রকম হয়েছিল তা এখনো জানায়নি তারা।

লকডাউনে ফাঁকা আমিরাতের রাস্তা

বর্তমানে চীনের কয়েকটি স্থানে নতুন করে কমিউনিটি সংক্রমণের দেখা দিয়েছে। দেশটির জিলিন প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শুলান শহরে আট হাজার মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

ডক্টর ঝং নানশান বলেন, দ্বিতীয়বার সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব দক্ষিণ কোরিয়াতেও লক্ষ্য করা গেছে। সিউলের একটি নাইটক্লাব থেকেই এটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে নতুন করে ১৬৮ জন শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্ব নেতারা এই দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউয়ের ঝুঁকি নিয়েই নিজেদের অর্থিনীতি পুনরায় চালু করার চিন্তায় আছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যেও দীর্ঘ লকডাউনে গৃহবন্দী থাকায় ধৈর্য্যের অভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যে মানুষ লকডাউন উঠিয়ে নেয়ার জন্য গণজমায়েত করে আন্দোলন পর্যন্ত করেছে।