আম্পানে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ, নিহত ১২

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। সেখানে ইতোমধ্যে ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ পুরো রাজ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

আম্পানের প্রভাবে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ

আজ বুধবার রাতে নিজ বাসভবন নবান্ন থেকে রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব পুরোটাই বাংলার উপর দিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাথরপ্রতিমা, নামাখানা, বাসন্তী কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর, ভাঙড় সব ভেঙে গেছে। কেন্দ্রের কাছে আবেদন থাকবে বিষয়টি পলিটিক্যালি না দেখে মানবিক ভাবে দেখুন।

পাঁচ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরাতে পেরেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, পুকুর, চাষের জমি সব শেষ। রামনগর, নন্দীগ্রামে ক্ষতি হয়েছে। ব্যারাকপুর, বসিরহাট, বারাসত, বনগাঁ মহকুমা, সুন্দরবন, গঙ্গাসাগর সব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া রাজারহাট, হাসনাবাদ, গোসাবা, সন্দেশখালি, বনগাঁ, বাগদা, হাবড়াতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমাদের অফিসের অর্ধেক ভেঙে গেছে। কয়েক হাজার টাকার ক্ষতি হয়ে গেল। কত যে বাড়ি, নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। নদীমাতৃক রাজ্য আমাদের, সব জায়গা পানিতে একাকার।

আম্পানের প্রভাবে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গ

ধ্বংসের হাত থেকে উন্নয়নের পথে আবার সবাইকে শামিল করে একসঙ্গে কাজ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, বনগাঁ, হাবড়াসহ এখনো বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চলছে। মধ্যরাত পর্যন্ত এই তাণ্ডব চলতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আর পুরোপুরি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে আরো ১০-১২ দিন সময় লেগে যাবে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে আজ সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ো বাতাস বইতে থাকে। দুপুর থেকে বাতাসের বেগ বেড়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আম্পান আছড়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার ধারণ করে। সন্ধ্যা ৭টার পর কলকাতায় আম্পানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৩ কিলোমিটার। ৮টার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও এখনো বিপদ কাটেনি।