অ্যালেক্স ওডেহ ইস্যুতে আজও নীরব যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

১৯৮৫ সালের ঘটনা, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অ্যালেক্স ওডেহ নামের এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান অ্যাক্টিভিস্টকে হত্যা করে এক ইহুদী উগ্রবাদী। তাকে পাইপ বোমা দিয়ে বেঁধে রেখে হত্যা করা হয়। তার হত্যাকারীকে আজ অব্দি আটক করা সম্ভব হয়নি।

প্রতীকী ছবি

এই হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ইহুদী প্রতিরক্ষা লীগের (জেডিএল) চেয়ারপার্সন ইরভ রুবন বলেছিলেন, অ্যালেক্স ওডেহর মৃত্যুতে আমার কোনো সমবেদনা নেই। সে তার প্রাপ্যটাই পেয়েছে।

ওডেহর হত্যাকারীকে খুঁজতে এফবিআই থেকেও এক মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর কোনো পদক্ষেপই সংস্থাটি থেকে নেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট মনিটর। এতে বলা হয়, এফবিআইকে সঠিকভাবে তদন্ত করতে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে পর্যাপ্ত কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। ওডেহর হত্যার বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলকে কোনো চাপও দেয়া হয়নি।

নিহত এলেক্স ওডেহ

ওডেহ জন্মগ্রহণ করেছিলেন পশ্চিম তীরের খ্রিস্টান অধ্যুষিত ফিলিস্তিনের জিফনা নামে এক গ্রামে। গ্রামটি ইসরায়েল অধ্যুষিত অঞ্চলের খুব নিকটে অবস্থিত। তিনি সারাজীবন ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরব-আমেরিকান কমিটিতে কাজ করে গেছেন। ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে নিজ জনগণকে সচেতন করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। তার এসব কর্মকাণ্ডকেই নিজেদের জন্য হুমকি ভেবেছে উগ্রবাদী ইহুদীরা।

জানা যায়, তাকে হত্যার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে ব্রউচ বেন-ইউসেফ এবং ইসরায়েল ফুচস নামে দুই ইহুদীকে সন্দেহ করছে এফবিআই।

মিডল ইস্ট মনিটর বলছে, ওই হত্যাকাণ্ডের পর ব্রউচ বেন-ইউসেফ এবং ইসরায়েল ফুচস ইসরায়েলে ফিরে গেছে। সেখানে তাদের নাগরিকত্ব এবং সরকারি মদদে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। যার কারণে কয়েক যুগ অতিবাহিত হয়ে গেলেও এফবিআই তাদের কোনো হদিস পাচ্ছে না।

ইসরায়েলের চির পরিচিত রূপ এটি। এই অঞ্চলটি বিশ্বের অন্যতম সেরা দুর্বৃত্তপরায়ন অঞ্চল। ব্রউচ বেন-ইউসেফ এবং ইসরায়েল ফুচসের মতো অনেক উগ্রবাদী ইহুদীই সেখানে আশ্রয় নিয়ে আছে। যাদের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খুঁজে বেড়াচ্ছে। অথচ সেই ইসরায়েল পশ্চিমাদের সহায়তা নিয়ে অন্য দেশে সন্ত্রাসী খুঁজে বেড়ায়।