তামিম: জেতার বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় শক্তি

আপাতত মাঠের ক্রিকেট বন্ধ। করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমলে হয়তো ক্রিকেট ফিরবে মাঠে। তার আগে মোবাইল-ল্যাপটপের সামনে খুব ভালো সময় কাটাচ্ছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক সম্প্রতি একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দেন সাবেক ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে। সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দল এখন বিশ্বাস করে যে কোনো ম্যাচই জেতা সম্ভব আর এটিই সবচেয়ে বড় শক্তি।

গত মাসে নিজেই বেশ কয়েক ক্রিকেট তারকার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তামিম। ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচারিত সেই আয়োজনকে অবশ্য সাক্ষাৎকার না বলে, আড্ডা বলাই বেশি সঙ্গত। সতীর্থ থেকে শুরু করে বিদেশি ক্রিকেট তারকা থেকে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক; সবাই ছিলেন তামিমের আড্ডায়।

দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকু রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ তো ছিলেনই, ছিলেন রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার ও লিটন দাসরাও। বিদেশি তারকাদের মধ্যে ছিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসি, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, কেন উইলিয়ামস। দারুণ সেই সব আড্ডার পর এবার নিজেই হাজির হলেন ক্রিকইনফোর আড্ডায়।

গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট কোথায় সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছ, মাঞ্জরেকার এ রকম একটি প্রশ্ন করেন তামিমকে। উত্তরে বাংলাদেশের এক নম্বর ওপেনার ও ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, “এখন থেকে ছয় সাত বছর আগেও আমরা জানতাম না মাঠে কেমন খেলবো। বিশেষ করে বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলা থাকলে হোটেল থেকে বের হওয়ার সময়ই মনে হতো আমরা হেরে যাবো। ফলাফলটা আমরা আগেই জানতাম। জেতার বিশ্বাস করার মতো আত্মবিশ্বাসই তখন ছিলো না।”

তামিম আরো বলেন, “তবে এখন চিত্রটা ভিন্ন। এখন আমরা বিশ্বাস করি যে কোনো দলকেই আমরা হারাতে পারি। ছোট বা বড় দল বলে আলাদা কিছু আর আমরা ভাবি না। প্রতিটি ম্যাচেই জেতার মতো বিশ্বাস আমাদের আছে। শুধু ক্রিকেটাররা অবশ্য নয়, আমাদের দর্শকরা এক সময় আমাদের জেতার বিষয়ে সন্দিহান ছিলো। কিন্তু এখন তারও বিশ্বাস করে আমরা যে কোনো ম্যাচ জিততে পারি। আমার মনে হয় গত ১০ বছরে এটাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় উন্নতি।”

আপাতত বাংলাদেশে ক্রিকেট বন্ধ। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক, কোনো ধরনেরই ক্রিকেটই হচ্ছে না। তবে এই পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যেতে পারে। সম্প্রতি বিসিবি বলেছে যে, তারা দ্রুতই জাতীয় দলের অনুশীলনের ব্যবস্থা শুরু করার কথা ভাবছে।

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের একটি অংশ স্থগিত হয়ে গেছে। স্থগিত হয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফরও। তবে মহামারী পরিস্থিতি একটু ভালো হলে জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারে বাংলাদেশ। যদি বাংলাদেশ এই সফরে যায়, তাহলে পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়ক হিসেবে এটাই তামিমের প্রথম সফর হবে।