পজিশন বদলাবেন মেসি!

ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে আক্রমণ ভাগেই দেখা গেছে লিওনেল মেসিকে। যেখানে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার শুধু নিজেই গোল করেন না, সতীর্থদের দিয়েও করিয়েছেন অসংখ্য গোল। যা তাকে নিয়ে গেছে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের পর্যায়ে। কিন্তু প্লে-মেকার, স্ট্রাইকার কিংবা উইঙ্গার- তিনটির এক ভূমিকাতে না খেললেও পারতেন মেসি।

৩২ বছর বয়সী তারকা হতে পারতেন মিডফিল্ডার। লিভারপুলের সাবেক ফুটবলার লুইস গার্সিয়া মনে করেন, এই ভূমিকায় মেসি আরো দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন। গার্সিয়ার বিশ্বাস, একদিন মিডফিল্ডার ভূমিকাতেও দেখা যাবে মেসিকে। এই পজিশনে বার্সেলোনা অধিনায়ককে আরো ক্ষুরধার দেখা যাবে বলে মনে করছেন অল রেডদের প্রাক্তন ফুটবলার।

ফরওয়ার্ড ভূমিকায় ক্লাব ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য সবকিছু পেয়েছেন মেসি। ব্যক্তিগতভাবে জিতেছেন ছয়বার ব্যালন ডি’অরের ট্রফি। প্রতিপক্ষের বিপদসীমায় ড্রিবলিং, পাসিং এবং গোল করার সক্ষমতা এক কথায় অসাধারণ। বিখ্যাত অনেক কোচই মেসিকে এই পজিশনে খেলিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। কিন্তু কোনো কোচই তাকে মিডফিল্ডার ভূমিকায় খেলাননি।

এনিয়ে অবশ্য মেসির ভক্ত-সমর্থকদের একটা কৌতুহল আছে। মধ্য মাঠে মেসি কেমন পারফর্ম করেন সেটা দেখতে মুখিয়ে আছেন অনেকেই। বাস্তবে ওইসব ভক্তের আশা পূরণ হবে কিনা সেটা বলা কঠিন। তবে গার্সিয়া মনে করেন দক্ষতা ও সক্ষমতার কারণে মেসি যে কোনো পজিশনে খেলতে পারেন। মিডফিল্ডার ভূমিকায় খেললে তার সাফলতা আরো বাড়তে পারে বলে আশা তার।

এ নিয়ে রোববার বার্সা টিভিকে লিভারপুল কিংবদন্তি বলেছেন, ‘তিনি অনেক কিছুই শিখেছেন। প্রতিভা এবং সক্ষমতার কারণে যে কোনো পজিশন তিনি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। আমরা তাকে উইং-এ, প্লে-মেকার হিসেবে খেলতে দেখেছি। যে কোনো অবস্থাতে যে কোনো ম্যাচে সে তার দক্ষতার প্রয়োগ করতে পারেন।’

গার্সিয়া আরো বলেছেন, ‘সময় হলেই তাকে মাঠের আরো নীচ থেকে খেলতে দেখা যাবে। তবু তার প্রতিভা ও দক্ষতার কমতি থাকবে না। এখানে তাকে আরো ক্ষুরধার দেখা যেতে পারে। তবে এটা (মেসি মিডফিল্ডার হিসেবে খেলবেন কিনা) শুধুই বার্সেলোনা নির্ধারণ করবে।’

করোনাভাইরাস আতঙ্কে ফুটবল স্থগিত হওয়ার আগে দারুণ ছন্দে ছিলেন মেসি। লিগের ২১ ম্যাচে ১৯ গোল করেছেন তিনি। এ ছাড়া সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো এক ডজন গোল। এমন একজনকে মধ্যমাঠে খেলানোর ঝুঁকি বার্সা প্রধান কোচ কিকে সেতিয়েন নেবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহের মাত্রা প্রবল।