আপনি পড়ছেন

বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এর মধ্যেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের মোট ৯টি দেশ থেকে মরণব্যাধী এই ভাইরাসটি পুরোপুরি বিদায় নিয়েছে। দেশগুলো এখন করোনা রোগী শূন্য।

corona virus new 1বিশ্বের ৯ দেশ থেকে করোনার বিদায়

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের খবরে বলা হয়, করোনা রোগী শূন্য হয়ে যাওয়ায় দেশগুলোতে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে। ফের স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। ইতোমধ্যে অনেকে কর্মস্থলেও যোগ দিয়েছেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে এমন সাফল্য পাওয়ায় বিশ্ববাসীর প্রশংসায় ভাসছে দেশগুলো।

নিউজিল্যান্ড:

সারা পৃথিবী যখন করোনায় টালমাটাল, তখন নিউজিল্যান্ড দিয়েছে এক আশ্চর্য সাফল্যের খবর। সেই যে ১৯ মে তারা সর্বশেষ কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করেছে তারপর আর কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না। এতদিন অপেক্ষার পর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণা করার চিন্তা করছে দেশটির সরকার।

করোনা মোকাবেলায় পৃথিবীর সবচেয়ে সফল দেশের একটি নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয় গত ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে। ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৫০৪ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ২২। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

মন্টেনিগ্রো:

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবার শেষে করোনা রোগী ধরা পড়ে মন্টেনিগ্রোতে। সেখানে গত ১৭ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৪ জনে। এরপর আর কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। ফলে সংক্রমণ শুরুর মাত্র ৬৮ দিনের মধ্যেই নিজেদের করোনামুক্ত ঘোষণা করে দেশটি।

ইরিত্রিয়া:

আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় এই দেশটিতে জনসংখ্যা ৬০ লাখ। সেখানে গত ২১ মার্চ নরওয়ে ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় মাত্র ৩৯ জনে। এরপর আর কোনো রোগী না পাওয়ায় গত ১৫ মে করোনামুক্তির ঘোষণা দেয় দেশটি।

পাপুয়া নিউ গিনি:

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে গত ২০ মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে আরো সাতজন ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হন। এরপর আর করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। গত ৪ মের মধ্যে আক্রান্তরাও সুস্থ হয়ে উঠেন।

সিশেলস:

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে মোট ৯৭ হাজার মানুষের বসবাস। সেখানে গত ১৪ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর আরো ১১ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

হলি সি:

ছোট্ট এই দেশটিতে মাত্র ১২ জনের শরীরে মরণব্যাধী করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। গত ৬ জুনের মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে গেছেন। এর ফলে দেশটি এখন করোনা রোগী শূন্য।

সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস:

ক্যারিবিয়ান সাগর পাড়ের এই দেশটিতে গত ২৪ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত করা হয়। নিউইয়র্ক ফেরত ওই দুইজনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্তের পরপরই দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়। ফলে ৫২ হাজার জনসংখ্যার এই দেশটিতে ভাইরাসটি তার সংক্রমণ ছড়াতে পারেনি। মাত্র ১৫ জন করোনা রোগী পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে গেছেন।

ফিজি:

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে গত ১৯ মার্চ প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে। এরপরই সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। বাইর থেকে আসা সবার জন্য বাধ্যতামূলক ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়। এখন পর্যন্ত সেখানে মাত্র ১৮ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন। ফলে গত ২০ এপ্রিল নিজেদের করোনামুক্ত ঘোষণা করে দেশটি।

পূর্ব তিমুর:

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে গত ২১ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। এর পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। যার ফলে সেখানে মাত্র ২৪ জন করোনা রোগী পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তাদের সবাই সুস্থ হয়ে গেছেন।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.