মার্কিনিদের ভিসা প্রত্যাখ্যান ভারতের

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)-এর কর্মকর্তাদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করলো ভারত। মার্কিন কংগ্রেসে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তারা ভারতে এসে এ বিষয়ে গবেষণা করতে চেয়েছিল।

প্রতীকী ছবি

ভিসা প্রত্যাখ্যান বিষয়ে ভারত বলছে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি সংস্থার কোনো হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে মতামত দেয়ারও বিদেশি সংস্থার কোনো অধিকার নেই।

আল-জাজিরার বরাতে জানা যায়, সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে ভারতের বিষয়ে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার এই রাষ্ট্রটির বিষয়ে আমি বেশ উদ্বিগ্ন। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই ভারত ইউএসসিআইআরএফ’র কর্মকর্তাদের ভিসা বাতিল করে দেয়।

ভারতের পররাষ্টমন্ত্রী সুব্রাহমানইয়াম জয়সংঙ্কর

এই প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্টমন্ত্রী সুব্রাহমানইয়াম জয়সংঙ্কর বলেন, ইউএসসিআইআরএ’র কর্মকর্তারা গবেষণা কার্যক্রমের জন্য যে ভিসা আবেদন করেছিল তা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকার। কারণ ভারতের নাগরিক সম্পর্কে তাদের ধারণা খুব স্বল্প। ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিনিরা যে তথ্য প্রকাশ করেছে তা পক্ষপাতদুষ্ট এবং কুসংস্কারযুক্ত। সেই প্রভাব ইউএসসিআইআরএ’র গবেষণাতেও প্রতিফলিত হবে।

ভিসা প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে ইউএসসিআইআরএ’র মুখপাত্র ড্যানিয়েল সারোয়ান আসবাহিয়ান বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ভারত সরকারের সঙ্গে এ সম্পর্কিত বিস্তর আলোচনা করতে। তারা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্ক বেশ গভীর। আমাদের ভিসার অনুমোদন দেয়া উচিৎ ছিল তাদের।

গত এপ্রিলে প্রকাশিত এক গবেষণায় ইউএসসিআইআরএ জানায়, পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারত এমন একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যা উদ্বেগজনক। তারা নিজেদের দেশকে রাশিয়া, চীন, ইরান ও সিরিয়ার মতো করতে চাইছে।

এরপর মার্কিন কংগ্রেসে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভারতে নিকট অতীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে কাশ্মিরের ঘটনার পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ধর্মীয় বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।