ভ্যাকসিনের আগে প্লাজমাই হতে পারে কার্যকর পদ্ধতি!

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে উঠা ব্যক্তিরা নিজেদের রক্তের প্লাজমা (রক্তরস) প্রদান করছেন। সেই প্লাজমা দেয়া হচ্ছে সংক্রমিত রোগীদের। এতে সেরে উঠছেন অনেকেই। সুস্থ ব্যক্তির প্লাজমা করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিশ্চিত সারিয়ে তোলে এ রকম কোনো শক্ত প্রমাণ এখন পর্যন্ত মেলেনি। তবুও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

সংগ্রহকৃত রক্তের প্লাজমা

অবশ্য গবেষকরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্লাজমা পদ্ধতি কার্যকর প্রভাব রাখতে সক্ষম। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যারা এটি প্রয়োগ করছেন তারাও এর কাযকারিতা আছে বলে জানাচ্ছেন।

আরব নিউজের বরাতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ২০ হাজার মানুষকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা হিসেবে এই প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে। এটি কতটুকু কার্যকর সে সম্পর্কে খুব সামান্য তথ্যই আছে চিকিৎসক ও গবেষকদের কাছে।

কিছুদিন আগে এ সম্পর্কিত চীনের একটি গবেষণায় প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা নিয়ে স্পষ্ট ফলাফল দেখা যায়নি বলে দাবি করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা এ ব্যাপারে খানিকটা আশা আলো দেখিয়েছে।

গবেষণাটি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি। এতে নেতৃত্ব দেয়া ডক্টর স্মুয়েল সোহাম বলেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি নিয়ে আমাদের ইতিবাচক পর্যবেক্ষণ আছে।

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি

জানা যায়, জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির এই গবেষণা যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী আরো বৃহৎ আকারে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেই গবেষণায় তারা অনুসন্ধান করে দেখবেন, এই থেরাপি সত্যিই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে সারিয়ে তোলে কি না।

সেই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী তারা ১৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিয়েছে। এদের কাজ হবে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা। কারণ তাদের দেহে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে শক্তিশালী এন্টিবডি তৈরি হয়। গবেষকরা সেই প্লাজমা প্রয়োগ করে দেখবেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর কোনো পরিবর্তন হলো কি না।

গবেষকরা বলছেন, যদি এই থেরাপি কাজ করে তাহলে ভ্যাকসিন আসার আগেই একটি কার্যকর পদ্ধতি পেয়ে যাবে সবাই।