অসুস্থ শরীরেই নাসিমের কবর জেয়ারতে জাফরুল্লাহ

দুজনে একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন হাসপাতালের বিছানায়। লড়াইয়ে হেরে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চলে গেলেন না ফেরার দেশে। অন্যদিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোমুক্ত হয়ে হাসপাতাল ছাড়লেন। তবে তার শরীর এখনো পুরোপুরি ভালো নয়। এই অবস্থাতেই বনানী কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে মোহাম্মদ নাসিমের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নিলেন এবং কবর জেয়ারত করলেন ডা. জাফরুল্লাহ।

গতকাল শনিবার রাতে ডা. জাফরুল্লাহর করোনামুক্তির কথা জানানো হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট প্রকল্পের প্রধান এবং গবেষক ড. বিজন কুমার শীল বলেন- করোনা নেগেটিভ হওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষায় দেখা গেছে, তার শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সুতরাং তাকে এখন সুস্থ বলা চলে। তবে তার শরীর এখনো অনেক দুর্বল।

গত ২৫ মে নিজেদের উদ্ভাবিত কিটে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পিসিআর টেস্ট করালেও একই রেজাল্ট আসে। গত ২৬ মে তিনি প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেন। এরপর আরো দুইবার তিনি প্লাজমা থেরাপি নেন।

হাসপাতাল ছাড়লেও জাফরুল্লাহ চৌধুরী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফিজ ও অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে পর্যবেক্ষণে থাকবেন। তার স্ত্রী শিরীন হক ও ছেলে বারিশ চৌধুরীও করোনাভারাসে আক্রান্ত।

মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় নাসিম

মায়ের কবরের পাশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে দাফন করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে দুই দফা জানাজা শেষে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প্রথম দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদে এবং দ্বিতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বনানী কবরস্থান মসজিদ প্রাঙ্গণে।

সোবহানবাগ মসজিদে প্রথম দফার জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ কিছুক্ষণের জন্য তার ধানমণ্ডির বাসভবনে নেওয়া হয়। তারপর বননী কবরস্থানে জানাজা শেষে বীর এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নাসিমের মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে শেষবার শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।