নতুন গাইডলাইনেই কিটের নিবন্ধন চাইবে গণস্বাস্থ্য

সম্প্রতি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রতিবেদন দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনে ওধুষ প্রশাসন অধিদপ্তরকে পরোক্ষভাবে কিটের অনুমোদন দেওয়ার সুপারিশ করে (এই কিট দেশে করোনা রোগের ব্যাপকতা পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে) বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। যদিও সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, গণস্বাস্থের কিট ‘কার্যকর’ নয়। 

সম্প্রতি ওষুধ প্রশাসন নতুন যে নীতিমাল তৈরি করেছে, তার আওতায় না পড়ায় অ্যান্টিবডি কিটের নিবন্ধন দেয়নি সরকারের এ প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিষয়টি বিএসএমএমইউ কিংবা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কাউকেই আগে থেকে অবগত করেনি ওষুধ প্রশাসন।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন গাইডলাইনের আলোকে কাগজপত্র পুনর্বিন্যাস করে নিবন্ধনের জন্য ওষুধ প্রশাসনের কাছে ফের জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আজ শনিবার গণমাধ্যমকে তথ্যটি জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল।

তিনি বলেন, নিবন্ধনের ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন নতুন একটা গাইডলাইন দেখিয়েছে। উদ্ভাবিত কিট সেটার আওতায় আসতে হবে বলে তারা জানিয়েছে। নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী, ৩০টা পজেটিভ স্যাম্পল, ৮০টা নেগেটিভ স্যাম্পল এবং সেনসেটিভিটি স্পেসিফিক্যালি ৯০-এর বেশি হতে হবে।

সেক্ষেত্রে আমরা যে কাজ করেছি, সেটা নিবন্ধনের জন্য যথেষ্ট ছিল। এই গাইডলাইন আমাদের আগে জানানো হয়নি। বিএসএমএমইউ টিমকেও জানায়নি। ফলে এখন এটার আলোকে কাজ আবার রি-অ্যারেঞ্জ করছি, যোগ করেন এই বিজ্ঞানী।

ড. বিজন কুমার শীল বলেন, গাইডলাইনের চেয়ে কিটের ফল ভালো হওয়া সত্ত্বেও নিবন্ধন দেয়া হয়নি। তবে এটা বলেও এখন লাভ নেই। নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী দেখি কী করতে পারি। তবে নতুন করে কিছু করবো না। শুধু পেপারসগুলো রি-অ্যারেঞ্জ করবো আর কী।

তিনি বলেন, ওষুধ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে ৩০, আর আমরা ৩০০ করছি। সুতরাং দুশ্চিন্তার কারণ নেই। এটা বিএসএমএমইউকেও জানানো হয়েছে। তারাও হয়তো এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে এবং নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী কাজ করবে। আর এটা আগে জানলে আরো সহজ হতো।