ব্যালটে ধানের শীষ না রাখার দাবি বিএনপির

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে আসন্ন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে এবার নির্বাচনী ব্যালট থেকেও ধানের শীষ প্রতীক বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।

আজ মঙ্গলবার বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে দলের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে গিয়ে এ দাবি জানান।

এ বিষয়ে বিএনপির বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের চিঠি নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেহেতু ভোটে থাকব না, সে জন্য ব্যালটে ধানের শীষ প্রতীক না রাখার দাবি জানিয়েছি।

ব্যালটে ও ভোটে না থাকার বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতেই এ দাবি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আইনি জটিলতা থাকলেও ইসি সচিব বিএনপির দাবি কমিশনে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন।

যদিও পরবর্তীতে ইসি সচিব আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হয়ে গেছে। তাই আর কোনো কিছু পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকছে না। সে জন্য ব্যালট পেপারে সব প্রার্থীর ছবি ও নাম থাকবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই করোনার মধ্যে উপনির্বাচন করতে হচ্ছে।

এর আগে গত ৫ জুলাই বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না তারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও আগামী ১৪ জুলাই বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গত ২৯ মার্চ ওই দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারি ঠেকানোর অংশ হিসেবে তা স্থগিত করা হয়। এখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকেই এ নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুলাই বগুড়া-১ আসন এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হতে যাচ্ছে।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের চতুর্থ দফায় বলা হয়েছে, সংসদ ভাঙা ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এ দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহলে এই মেয়াদের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।