করোনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন নীতিমালা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নতুন স্বাস্থ্যবিধি ঘোষণা করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভাইরাসটি বাতাসেও ছড়িয়ে পড়ে এমন কিছু গবেষণা আমলে নিয়ে তারা নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তবে বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমণ হচ্ছে এমন কোনো স্বীকৃতি আসেনি সংস্থাটি থেকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লোগো

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে জানা যায়, নতুন নীতিমালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বদ্ধ পরিবেশে জনসমাগম হলে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট, ফিটনেস ক্লাস কিংবা প্রার্থনার স্থান।

বিভিন্ন গবেষণার তথ্যমতে, বাতাসেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তা মানতে নারাজ ডব্লিউএইচও। নতুন নীতিমালাতে বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে সংস্থাটি জানায়, এ বিষয়ে খুব জরুরি ভিত্তিতে গবেষণা প্রয়োজন। যেসব দাবি উঠছে তা খতিয়ে দেখে সত্যতা যাচাই করতে হবে।

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যান্থনি ফুসি বলেন, আমাদের কাছে শক্ত প্রমাণ আছে যে, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক গবেষক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অবস্থান চ্যালেঞ্জ করে জানান, বাতাসের মাধ্যমে যে করোনা ছড়াতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের কাছে অকাট্য প্রমাণ আছে। 

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

এর পরই ডব্লিউএইচও নতুন নীতিমালা প্রণয়নে পদক্ষেপ নেয়। সঙ্গে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিও আমলে নেয় জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে নতুন নীতিমালায় ডব্লিউএইচও জানায়, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে, সংক্রমিত ব্যক্তির কাছে গেলে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। ভাইরাসটি মূলত থুথু ও ড্রপলেটের (হাঁচি ও কাশি) মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে।

বাতাসের মাধ্যমে ভাইরাসটি কতটুকু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তা এখনো পরিষ্কার না ডব্লিউএইচও’র। তারা বলছে, থুথু ও ড্রপলেটের তুলনায় বাতাসে করোনাভাইরাস কতটুকু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তার কোনো যৌক্তিক তথ্য নেই গবেষণাগুলোতে।

নীতিমালা জানিয়ে সংস্থাটি থেকে বলা হয়, আমাদের দেখানো স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে। পূর্বের মতো সবাইকে ১ মিটার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।