লিবিয়া ইস্যুতে ‘স্বস্তিতে’ এরদোয়ান

লিবিয়ায় চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তুরস্কের ভূমিকাকে সমর্থন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন বলে দাবি করছে নিউ খালিজ।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান (বামে) ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (ডানে)

গোয়েন্দাদের বরাতে গণমাধ্যমটি জানায়, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার দুই দেশের প্রেসিডেন্ট ফোনালাপ করেছেন। সেখানে তারা লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল একোর্ডকে (জিএনএ) বৈধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

ফোনালাপে এরদোয়ানের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, লিবিয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মার্কিন হস্তক্ষেপের চেয়ে তুর্কি হস্তক্ষেপকে বেশি প্রাধান্য দেই আমি।

জিএনএ'র সমর্থিত স্বশস্ত্র বাহিনী

গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই নেতা লিবিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি স্থাপনে আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করতে সহমত পোষণ করেছেন।

লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই ক্ষমতা দখল নিয়ে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। গত কয়েক বছর ধরে জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) সঙ্গে লড়াই করে আসছে জিএনএ।

উভয় পক্ষকেই বিভিন্ন রাষ্ট্র সমর্থন ও মদদ দিয়ে আসছে। এলএনএ-কে সমর্থন দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও রাশিয়া। অন্যদিকে জিএনএকে সমর্থন দিচ্ছে তুরস্ক।

সম্প্রতি এ নিয়ে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার (জিএনএ) ও তুরস্কের মধ্যে চুক্তি হয়। এর পরই তুর্কি সেনারা লিবিয়ায় গিয়ে অভিযান শুরু করে। এর পরই সেখানে দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে। ইতোমধ্যে হাফতার বাহিনীর কাছ থেকে কয়েকটি অঞ্চলের দখল নিয়েছে জিএনএ। ফলে তুরস্কের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে অপর পক্ষ। তবে ট্রাম্পের এই সমর্থনে লিবিয়া ইস্যুতে অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে এরদোয়ান সরকার।