পাকিস্তান দলে সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ তাহির!

নিজ দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলা যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক বড় সম্মানের। ইমরান তাহির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন ঠিকই। কিন্তু সেটা জন্মভূমি পাকিস্তানের হয়ে নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের হয়ে। পাকিস্তানের হয়ে খেলতে না পারার কষ্টটা এখন পোড়াচ্ছে তাকে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই খেলেছেন বিধ্বংসী এই স্পিনার। গত বছর আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে ব্যাট, প্যাড ও বল তুলে রাখেন তাহির। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০৭টি ওয়ানডে, ৩৮টি টি-টোয়েন্টি ও ২০টি টেস্ট খেলেছেন। সেখানে তার সাফল্য যথাক্রমে ১৭৩, ৬৩ ও ৫৭টি উইকেট।

তাহিরের জন্ম পাকিস্তানের লাহোরে। সেখানেই বেড়ে ওঠা, ক্রিকেটের হাতেখড়ি হওয়া। পাকিস্তানেই বিভিন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন তিনি। খেলেছেন পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। কিন্তু একটা ঘটনা পাল্টে দিয়েছে তাহিরের জীবনের মোড়।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান মেয়ে সুমাইয়া দিলদারের প্রেমে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাকে বিয়ে করে তাহির ছেড়েছেন জন্মভূমি; পাড়ি জমিয়েছেন নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে। সেখানেই দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের স্পিন বিভাগের অন্যতম শক্তি হয়ে ওঠেন তিনি।

২০০৯ সালে ৩২ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু করেন তাহির। প্রোটিয়াদের হয়ে ভালোই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। কিন্তু শেকরের টান এখনো ভুলতে পারছেন না তাহির। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলতে না পারার আক্ষেপ এখনো তাড়িয়ে বেরাচ্ছে তাকে।

বুধবার পাকিস্তানি একটি চ্যানেলকে সেই হতাশার কথা বললেন তাহির, ‘আমি লাহোরে জন্ম নিয়েছি, সেখানেই বড় হয়েছি; ক্রিকেট খেলেছি। আমি আমার ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় পাকিস্তানে খেলেছি। কিন্তু সেখানে (পাকিস্তান জাতীয় দলে) সুযোগ না পাওয়ায় আমি হতাশ।’ শেষ পর্যন্ত ঠিকই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাহিরের।

হতাশ এই স্পিনার উড়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বপ্নপূরণ হয় তার। এ জন্য স্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ তিনি। তাহির বলেছেন, ‘পাকিস্তান ছেড়ে আসা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল আমার জন্য। কিন্তু ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে পেরেছি। এর আসল কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর।’