ব্রড ঝড়ের পর বিপর্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ

সিরিজ নির্ধারণী ম্যানচেস্টার টেস্টে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে নাগালের বাইরে যেতে দেয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জো রুটদের ৩৬৯ রানে বেঁধে ফেলে ক্যারিবীয়রা। তবু দিন শেষে মলিন মুখে মাঠ ছেড়েছে সফরকারী দলটি। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের জবাব দিতে নেমে যে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে তাদের ব্যাটিং লাইন!

শনিবার ছয় উইকেটে ১৩৭ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্মুখী ইংলিশ পেস তোপে শুরুতেই ধসে পড়ে ক্যারিবীয়রা। ৭৩ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট খুইয়ে পুরোদস্তুর কাঁপতে থাকে সফরকারী দলটি। শেষ বিকেলে উইকেটে লাগাম টেনে ধরেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (২৪*) ও উইকেটরক্ষক সেন ডওরিচ (১০*)।

সপ্তম উইকেটে এই যুগলের ২৭ রানের জুটিতে কোনোরকম দিন পার করে উইন্ডিজ। এর আগে হোল্ডারের সঙ্গে ইনিংস মেরামত করতে এসে ২৬ রানে ফিরে গেছেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। এ ছাড়া ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ৩২ ও শাই হোপ ১৭ রানে আউট হন। ক্যারিবীয়দের পতন হওয়া উইকেটের দুটি করে নিয়েছেন জিমি অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। অন্য দুটি নিয়েছেন জফরা আর্চার ও ক্রিস ওকস।

দুর্দান্ত বোলিং করেছে ক্যারিবীয় পেসাররাও। তাতে শতক বঞ্চিত অলি পোপ। আগের দিন ৯১ রানে দিনের খেলা শেষ করা পোপ শনিবার সাজঘরে ফিরেছেন কোনো রান না করেই। দিনের শুরুতে তার সঙ্গী জাস বাটলার ৫৬ রানে খেলা শুরু করলেও আউট হয়ে গেছেন ১১ রান যোগ করে। ক্যারিবীয়দের অর্জন বলতে এই দুজনকে সাত-সকালে সাজঘরে ফেরত পাঠানো।

পোপ-বাটলারের বিদায়ে ছন্দপতন হয় ইংল্যান্ডের। দ্রুতগতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। অবস্থা বেগতিক দেখে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন ব্রড। ৪৫ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হন ইংলিশ পেসার। আরেক পেসার অ্যান্ডারসন ১৭ বলে করেন ১১ রান। ডম বেস ৫৫ বলে ১৮ রানে অজেয় থাকেন।

সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন কেমার রোচ। তাতেই ক্যারিবীয় নবম বোলার হিসেবে ‍দুশো উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ডানহাতি পেসার। দুটি করে শিকার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও রোস্টন চেজের। অন্য উইকেটের মালিক অতিথি অলরাউন্ডার হোল্ডার।

শনিবার সকালে চার উইকেটে ২৫৮ রানের দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। পোপ-বাটলারের ব্যাটে বড় সংগ্রহের আশা দেখছিল স্বাগতিকরা। সেটা হয়নি। তবে ইংলিশদের সেই দুঃখ বাতাসে মিলিয়ে গেছে ইনিংসের শুরুতেই ক্যারিবীয়দের বিপর্যস্ত করার আনন্দে।