পররাষ্ট্রমন্ত্রী: ওই প্রতিবেদন 'রাবিশ'

সম্প্রতি ভারতীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতকে উপেক্ষা করে চীন-পাকিস্তানমুখী হচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এমন প্রতিবেদনকে 'রাবিশ' বলে আখ্যায়িত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও চীনের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় অবান্তর বিষয় রটানো হচ্ছে। তবে এটি অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ আমরা শান্তিপ্রিয় দেশ এবং সবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আর এই সম্পর্কে কে ফোন করলো, কে কী করলো, সেই ঘটনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলার কোনো সুযোগ নেই। ভারতের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানেরও কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিছু মিডিয়া ইচ্ছে করে অবান্তর জিনিস রটাচ্ছে। যাকে রাবিশ বলা যায়।

লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি যুদ্ধে কয়েকজন ভারতীয় মারা গেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কেউ এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি। তাছাড়া তাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের কোনো নোট-ভার্বালও পাঠায়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ কোনো বক্তব্য দেয়নি।

কোনো বিরোধ নিয়ে ভারত কিংবা চীন কেউই বাংলাদেশের কাছে সমর্থন চায়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারত কিংবা চীন কেউই আমাদের কিছু বলেনি। আর আমরাও বিষয়টি ঠিক জানি না। মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদটি জানার পর শুধু বলেছি, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল অবস্থা এবং তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক। তাছাড়া বাংলাদেশ কারো অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কখনোই নাক গলায় না।

ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না প্রসঙ্গে ড. আব্দুল মোমেন বলেন, উনি ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর একটি সাক্ষাৎ চেয়েছেন এবং তিনি অনেক সময় দিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত সম্ভবত যাবেন সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের প্রথমে। এই সময়ের মধ্যে একটি সাক্ষাৎ চেয়েছেন। তাছাড়া করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রী এখন কারো সঙ্গেই দেখা করছেন না। এমনকি কেবিনেট মিটিংও ভার্চুয়ালি হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশি দূতও সাক্ষাৎ না পেয়ে ফেরত গেছেন। মিডিয়াগুলোতে যে তথ্যটা বের হয়েছে সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট।

সিলেট ওসমানী এয়ারপোর্টের টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চীনকে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেনো চীনকে কাজ দেয়া হলো এবং ভারতকে দেয়া হলো না, এটি নিয়েই মূলত প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসারে টেকনিক্যাল ও আর্থিক দিক বিবেচনা করে চীনকে এ কাজ দেয়া হয়। কারণ তারা টেকনিক্যালি কোয়ালিফায়েড এবং আর্থিক দিক থেকেও সবচেয়ে কম রেট। অন্যদিকে, ভারতের আর্থিক বিষয়টি অনেক বেশি ছিল। তাই তারা টিকতে পারেনি।