করোনা: ১১ শতাংশ রোগী স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারায়

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেহে দীর্ঘস্থায়ী কিছু সমস্যার উদ্ভব হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে যাওয়া। সম্প্রতি বিখ্যাত মার্কিন মেডিকেল সাময়িকী ‘জেএএমএ অটোলারিনজোলয়-হেড এন্ড নেক সার্জারি’-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ১১ শতাংশ রোগী স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারায়।

করোনায় ১১ শতাংশ রোগী স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারায়

ফক্স নিউজের বরাতে জানা যায়, গ্রেগ শুলুক (২৯) নামে এক নিউইয়র্ক নিবাসী গত মার্চে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এ সময় তার দেহে মৃদু লক্ষণগুলো দেখা দেয়। প্রথমে জ্বর, কাশি শুরু হয়। কিন্তু পরে ধীরে ধীরে স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। জ্বর ও কাশি ১ মাসের মধ্যে চলে গেলেও এখন পর্যন্ত স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি সম্পূর্ণ ফিরে পাননি।

শুলুক বলেন, শুরুর দিকে বলতে পারতাম না খাবার লবণাক্ত নাকি মিষ্টি। সেই ঘটনার ৫ মাস পরেও আমি পুরপুরি স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি ফিরে পাইনি। এখন অল্প অল্প পেতে শুরু করেছি। মনে হচ্ছে ৭০ শতাংশ ফিরে এসেছে।

করোনাভাইরাসের মাইক্রোস্কোপিক ছবি

চিকিৎসকরা বলছেন, শুলুক হলেন বহু মানুষের একজন যারা করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারিয়েছেন। অধিকাংশেরই এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় রূপান্তর হয়েছে। ঠিক কবে নাগাদ তাদের স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি ফিরে আসবে তার নিশ্চিত কোনো সময়সীমা নেই।

জেএএমএ অটোলারিনজোলয়-হেড এন্ড নেক সার্জারি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, প্রায় ১১ শতাংশ রোগী মরণঘাতী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলে। যা ১ এক মাসেরও অধিক সময় পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।

এ প্রসঙ্গে নিউইয়র্কভিত্তিক লেনক্স হিল হাসপাতালের চিকিৎসক ডক্টর রবার্ট গ্ল্যাটার বলেন, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট এই সমস্যা যে খুব লম্বা সময় ধরে একজনের দেহে বিদ্যমান থাকবে বিষয়টি এমন না। কয়েক সপ্তাহ পর একজন ব্যাক্তি স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি ফিরে পায়। এই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী হয় খুব কম।