প্রধানমন্ত্রী: রাষ্ট্রপতির মেয়ে হয়েও পরিচয় গোপন রাখতে হয়েছে

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতকদের হাতে খুন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির মেয়ে হয়েও নাম-পরিচয় গোপন রেখে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবন থেকে অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যুক্ত হন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতকদের হাতে খুন হওয়ার পর একজন রাষ্ট্রপতির মেয়ে হয়েও তাদের (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা) দীর্ঘদিন নাম-পরিচয় গোপন রেখে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। অথচ বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিচারের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে নির্দিধায় বিভিন্ন দূতাবাসে আরাম-আয়েশে জীবন কাটিয়েছে।

জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের ওই ঘৃণ্য খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলো উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জিয়া জাতির জনকের খুনিদের বিচার করেনি। বরং তাদের বিচার না করার ইনডেমনিটি দিয়েছিলো। আর তার স্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সন্ত্রাসীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিলো।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় দলের নেতাকর্মীরা

তিনি আরো বলেন, জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেই এর বিচার আইন করে বন্ধ রেখেছে। এ ঘটনার তদন্ত করতে আসতে চাওয়া কমিটিকে ভিসা দেয়নি। বরং পাকিস্তানি মদদদাতা রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের দেশের রাজনীতিতে সুযোগ করে দিয়েছিলো। বানিয়েছিলো মন্ত্রী-উপদেষ্টা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট ঘৃণ্য ওই কালরাতে খুনিরা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতিকে হত্যার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরতরে নস্যাৎ করে দেয়।

জিয়াউর রহমানকে মীরজাফর উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জিয়া খুনি মোস্তাককে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজে ক্ষমতা নিয়েছিলো। জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় ছিলো। শেখ মুজিবের খুনিদের ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া পাঠানো, ইনডেমনিটি বিল পাসসহ তার সকল কর্মকাণ্ড এটি প্রমাণ করে।