বান্দরবানের থানচিতে খাদ্য সঙ্কট চরমে, বরাদ্দ অপ্রতুল

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় প্রচণ্ড খাদ্য সংকটে রয়েছে স্থানীয় পাহাড়িরা। খাদ্য সংকট এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, যে কোনো সময় অনাহারে মানুষ মারা যেতে পারে বলে জানা গেছে।

খাদ্য সংকটের কারন হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে গতবছর পাহাড়ে চাষ করা জুমের ফসল ঘরে তুলতে না পারাকে দায়ী করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চেষ্টার ফলে প্রশাসন দুর্গত গ্রামগুলোর জন্য ১৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত এই আটশ পরিবারের জন্য বরাদ্দ চাল খুবই অপ্রতুল।

খাদ্যসংকটে ভোগা গ্রামগুলো হচ্ছে, রেমাক্রী ও তীন্দু ইউনিয়নের বড়মদক ভিতরপাড়া, হৈয়োক খুমীপাড়া, যোগীচন্দ্রপাড়া এবং আশেপাশের আরও কতোগুলো গ্রাম। প্রায় আড়াই হাজার মানুষ এই দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়েছে।

জুম চাষ হচ্ছে পাহাড়িদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম। সেই জীবিকার অধিকাংশই গত বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে। ফলে এ বছরে তারা খাদ্য সংকটে পড়েছে। এমনও পরিবার আছে যারা, একবেলা ভাত অন্য বেলা আলু বা মিষ্টি কুমড়া খেয়ে জীবন চালাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার কোনো বেলাতেই ভাতের দেখা পাচ্ছেন না।

হৈয়োক খুমীপাড়ার কারবারি (গ্রামপ্রধান) হৈয়ুক খুমি বলেন, এখানকার প্রতিটি পরিবার চরম খাদ্য সংকটে আছে। আমাদের জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে দ্রুত খাদ্য সরবরাহের দাবি জানাচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, থানচির ৮শ’ পরিবারের জন্য ১৬ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আর খাদ্য সংকটের ব্যাপারটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে। সরকার দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

তুমি আল্লাহর ওলি হয়ে গেছো, সেলিম ওসমানকে এরশাদ

মমতার জন্য ইলিশ-গুড়-জামদানি পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

রমজানে গরু ৪২০, খাসি ৫৭০

মন্ত্রী এলে ২৮০, চলে গেলে ৩৫০!