অ্যান্ডরসনের ৬০০ নিয়ে নাটক

প্রথম ইংলিশ পেসার হিসেবে ৬০০ উইকেটের খুব কাছেই আছেন জিমি অ্যান্ডারসন। রোববার স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে চার ‍উইকেট দরকার ছিল তার। কিন্তু সতীর্থদের পিচ্ছিল হাত জিমির অপেক্ষাটা কেবল বাড়িয়েই দিল। সাউদ্যাম্পটন টেস্টে ইংলিশ পেসার মাইলফলক ছুঁতে পারবেন কিনা তা নিয়েই এখন সংশয়।

কারণ চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে বৃষ্টির ভালো সম্ভাবনা আছে। সাউদ্যাম্পটনের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্যই দিচ্ছে। পাকিস্তান খুব করেই চাচ্ছে; বৃষ্টি ভাসিয়ে নিয়ে যাক ম্যাচ। কারণ পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছে তাদের। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের রানপাহাড়ের (৫৮৩/৮) জবাব দিতে নেমে ২৭৩ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান।

রোববার দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলেই পাকিস্তানকে ফলোঅন করানোর সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জে রুট। কিন্তু আলো স্বল্পতার কারণে দ্বিতীয়বার আর ব্যাটিংয়ে নামেনি পাকিস্তান। আজ তৃতীয় দিন ফের ব্যাট হাতে নামবে তারা। ম্যাচ বাঁচাতে তাদের ভরসার নাম বৃষ্টি আর আজহার আলি।

কাল ইংলিশ বোলিংয়ের বিরুদ্ধে প্রায় একাই লড়েছেন আজহার। তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই আড়াই শ ছাড়িয়েছে পাকিস্তান। ৩০ রানের মধ্যে চার উইকেট খুইয়ে বসেছিল তারা। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করতে আসেন আজহার। পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি।

এই জুটি শুরুর আগে ৭৫ রানে পাঁচ উইকেট হারায় পাকিস্তান। জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আরেক দফা ব্যাটিং ধস। লড়াই যা করলেন আজহার ও রিজওয়ান। প্রথমজন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরি তুলে নেন এদিন। পঞ্চম পাকিস্তানি হিসেবে টেস্টে করেন ৬ হাজার রান। আজহার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ১৪১ রানে।

রিজওয়ান ফেরেন ৫৩ রানে। এ ছাড়া ফাওয়াদ আলম ২১ ও ইয়াসির শাহ করেন ২০ রান। বাকি সাতজন যেতে পারেননি দুই অংকে। পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে এমন ভগ্নদশা লাগিয়েছেন অ্যান্ডারসন। টেস্টে ২৯ বারের মতো তুলে নেন পাঁচ উইকেট। প্রথম পেসার হিসেবে ৬০০ উইকেট নিতে আর দুটি শিকার দরকার তার।

শেষ বিকেলে বল মাঠে গড়ালে হয়তো এদিনই ইতিহাস গড়ে ফেলতেন অ্যান্ডারসন। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসেই মাইলফলকে পৌঁছাতে পারতেন তিনি। সেটা হয়নি সতীর্থদের কারণে। জিমির বলে পরপর ক্যাচ মিস করেন ররি বার্নস, জ্যাক ক্রলি ও স্টুয়ার্ট ব্রড। শেষজন ক্যাচ মিস করলেও রান আউট করেন মোহাম্মদ আব্বাসকে। চতুর্থবার আর ক্যাচ মিস হয়নি। ডম শিবলি নেন তৃতীয় স্লিপে থাকা নাসিম শাহর ক্যাচ।