আজহারের লড়াকু সেঞ্চুরির পরও ফলোঅনে পাকিস্তান

সিরিজে পিছিয়ে থাকায় শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না পাকিস্তানের সামনে। কিন্তু সাউদাম্পটন টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৫১৮ রানের জবাব দিতে নেমে ফলোঅনে পড়েছে সফরকারীরা। তাই জয়ের পরিবর্তে ইনিংস হার এড়াতেই তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবে আজহার আলীর দল।

আজহার আলী

বেন স্টোকসের অনুপস্থিতিটা ভালোই কাজে লাগায় জ্যাক ক্রলি। নিজের অভিষেক সেঞ্চুরিকে ২৬৭  রানে থামিয়ে প্রমাণ করেন, ইংলিশ টেস্ট দলের তিন নম্বর জায়গাটা এখন তারই। এই টপ অর্ডারের সাথে জস বাটলারও কম যাননি। সমালোচকদের বুড়ো আঙুল দেখানোর পথে খেলেন ১৫২ রানের ইনিংস।

স্বাগতিকদের রান পাহাড়ে চড়তে দেখেই হয়তো মনে ভয় চাপে প্রতিপক্ষ শিবিরে। তাই নিজেদের প্রথম ইনিংসে তারা গুটিয়ে গেছে ২৭৩ রানে। সবার আসা যাওয়ার মিছিলে অবশ্য বুক চিতিয়ে লড়াই করেন পাকিস্তান দলপতি আজহার আলী। অপরাজিত থাকেন ১৪১ রানে। তবুও ফলোঅন এড়াতে পারেনি সফরকারীরা।

জিমি অ্যান্ডারসন

অবশ্য এর সূত্রপাত করেন উপরের সারির ব্যাটসম্যানরাই। দলীয় ৩০ রানের মাথায় ৪ জন ফেরেন প্যাভিলিয়নে। দীর্ঘদিন পর দলে ডাক পাওয়া ফাওয়াদ আলমকে নিয়ে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আজহার। কিন্তু ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারালে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে পাকিস্তান। ৫৩ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হলে ভাঙে ১৩৮ রানের জুটি। এরপর দ্রুত উইকেট হারানোয় ইংল্যান্ডের চেয়ে ৩১০ রান কম করেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস।

পাকিস্তানকে অলআউট করার কাজটা সামনে থেকেই করেন ইংলিশ পেসার জিমি অ্যান্ডারসন। ক্যারিয়ারের ২৯ বারের মতো নেন ৫ উইকেট। ফিল্ডাররা ক্যাচ মিস না করলে হয়তো উইকেট সংখ্যাটা বাড়তে পারতো। আর মাত্র দুই জন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারলেই ৬০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকে যাবেন এই সুইং সেনসেশনাল।