কী হবে আজ সাউদ্যাম্পটনে?

তৃতীয় দিনেই পাকিস্তানকে ফলোঅনে পাঠানোর ইচ্ছা ছিল ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটের। কিন্তু আলোকস্বল্পতার কারণে তা হয়নি। সোমবার চতুর্থ দিনে পাকিস্তান ফের ব্যাটিংয়ে নামে। ইনিংস হার ঠেকানোর লড়াইয়ে তাদের কাছে যেন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বৃষ্টি।

বৃষ্টির কারণে সাউদ্যাম্পটন টেস্টে খেলা হয়েছে ৫৬ ওভার। যেখানে ‍দুই উইকেটে ১০০ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে পাকিস্তান। ইনিংস হার এড়াতে সফরকারীদের করতে হবে আরো ২১০ রান। অন্যথায় কাটিয়ে দিতে হবে আজকের পুরো দিন। তাদের জন্য স্বস্তির খবর হচ্ছে, আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে সাউদ্যাম্পটনে।

বৃষ্টি, আলোকস্বল্পতা ও সতীর্থদের পিচ্ছিল হাতের কারণে রোববার ৬০০ উইকেটের গণ্ডি ছুঁতে পারেননি ইংলিশ পেসার জিমি অ্যান্ডারসন। তার অপেক্ষা ছিল দুই উইকেটের। চতুর্থ দিনেও শেষ হয়নি তার অপেক্ষা। ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে এই মাইলফলক থেকে এক হাত দূরে আছেন জিমি।

বৃষ্টির সহায়তা তো ছিলই, কাল যতটুকু খেলা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এই টেস্টে ইংল্যান্ডের জেতা কঠিন হবে। আজ পঞ্চম ও শেষ দিন তুলে নিতে হবে পাকিস্তানের বাকি আট উইকেট। কিন্তু আজহার আলিরা ইংল্যান্ডকে সেই সুযোগটা দেবেন তো? উইকেটে যে মাটি কামড়ে পড়ে থাকাটা শিখে গেছেন তারা!

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের শুরুটা মন্দ হয়নি। ২৪তম ওভার পর্যন্ত টিকেছে তাদের উদ্বোধনী জুটি। ৪৯ রানে জুটে ভাঙে শান মাসুদের বিদায়ে। ফেরার আগে ৬৬ বলে ১৮ রান করেছেন তিনি। তার সঙ্গী আবিদ তো ধৈর্য্যশক্তির চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছেন। বল খেলেছেন ১৬২টি! তবে হাফসেঞ্চুরির আভাস দিয়ে আউট হন ৪২ রানে।

৮৮ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় পাকিস্তানের। আবিদকে আউট করেন অ্যান্ডারসন। এরপর শুরু অধিনায়ক আজহারের ব্যাটে প্রতিরোধ। বাবর আজমকে নিয়ে শুরু করেন মান বাঁচানোর লড়াই। দিন শেষে ৯২ বলে ২৯ রানে অজেয় থাকলেন তিনি। ১৬ বলে ৪ রানে অপরাজিত আছেন বাবর।

এই দুজনই পাকিস্তানের ব্যাটিং ভরসা। ইংল্যান্ডকে জয়ের আশা দেখাচ্ছে অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের দারুণ ফর্ম। কাল দুজনই পেয়েছেন উইকেট। আজ নিশ্চয়ই ধারাটা অব্যাহত রাখতে চাইবেন তারা।