আবরার হত্যা: গানম্যান চাইলেন আইনজীবী

নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য গানম্যান চেয়েছেন বহুল আলোচিত আবরার ফাহাদ (২১) হত্যা মামলার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর গানম্যান চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। এ ছাড়া এ মামলা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশাসনের কাছ থেকে সম্মানি নেওয়ার বিষয়ে অনাপত্তি চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি।

আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী- ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজীকে সম্প্রতি আবরার হত্যা মামলায় নিয়োগ দেয় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান।

এতে বলা হয়, আবরার হত্যা মামলার বিচারকাজ বর্তমানে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ চলছে। এ মামলা পরিচালনার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে বুয়েট তথা সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিধি মোতাবেক তার সম্মানী ও ভাতা বহন করবে বুয়েট প্রশাসন।

বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়ার পর আজ স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর গানম্যান ও সম্মানি গ্রহণের অনাপত্তি চেয়ে আবেদন করেছেন এহসানুল হক সমাজী।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ- ফাইল ছবি

এ বিষয়ে আইনজীবী সমাজী বলেন, আরবার হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় থেকে যে প্যানেল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের একজন হলেন তিনি। প্যানেলের প্রতি সদস্যকে বিধি মোতাবেক সরকারের পক্ষ থেকে সম্মানি দেওয়া কথা রয়েছে। আবার বুয়েট কর্তৃপক্ষও এ মামলা পরিচালনার জন্য তাকে নিয়োগ ও এর জন্য সম্মানি প্রদান করতে চাচ্ছে। তাই তিনি শুধু বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সম্মানি নিতে চান। এ জন্য সরকারের অনাপত্তি চেয়ে আজ স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর আবেদন করেছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, আবরার হত্যা মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এটি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবন রয়েছে। তাই নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি গ্যানম্যান চেয়ে আবেদন করেছেন।

এর আগে গত ২ জুলাই আবরার হত্যা মামলার পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের একটি প্রসিকিউটর প্যানেল নিয়োগ দিয়েেছে আইন মন্ত্রণালয়। এ প্যানেলে নেতৃত্ব দেবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন কাজল। আর বাকি দুই জন হলেন অ্যাডভোকেট মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী।

গত বছরের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর পরদিন মামলা করেন আবরারের বাবা। পরে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে এ হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো.ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ছয় জন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২ জনকে। বাকি তিন জন এখনো পলাতক রয়েছেন।