চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বসুন্ধরার স্টার সিনেপ্লেক্স

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে দেশের সকল সিনেমা হল। ব্যতিক্রম নয় জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্স। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হয়তো ধীরে ধীরে খুলবে সবগুলো হলই। তবে আর কখনোই রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে অবস্থিত স্টার সিনেপ্লেক্সের শাখাটিতে চলচ্চিত্র দেখতে পারবেন না দর্শকরা। কারণ সেটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

স্টার সিনেপ্লেক্স- ফাইল ছবি

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিনেমা হলটির বিপণন ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ।

তিনি জানান, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত ২০ মার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখা। দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে সিনেমা হল খোলা বিষয়ে কর্তৃপক্ষে সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তবে দুঃখজনক বিষয় এই যে বসুন্ধরা সিটিতে স্টার সিনেপ্লেক্সের যে শাখা রয়েছে সেটি আর খোলা হচ্ছে না।

হলটি বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চুক্তি ছিলো। কিন্তু মার্কেট কর্তৃপক্ষ সেটি আর নবায়ন করছে না। তারা ইতোমধ্যে হলটি বন্ধ করে সবকিছু নিয়ে যাওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে। এখন বাড়িওয়ালা যদি আর জায়গা ভাড়া না দেয় তাহলে তো ভাড়াটিয়াকে চলেই যেতে হবে। এ জন্য স্টার সিনেপ্লেক্সের এ শাখাটি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের দেশজুড়ে বাকি যেসব শাখা রয়েছে সেগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় চালু করা হবে।

বসুন্ধরা সিটি শপিংমল- ফাইল ছবি

তিনি আরো বলেন, ২০০৪ সালে অক্টোবর মাসে এই বসুন্ধরা শপিংমলে প্রথম যাত্রা শুরু করে স্টার সিনেপ্লেক্স। যখন এটি চালু করা হয় তখন দেশের একমাত্র ডিজিটাল ও অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন সিলেমা হল ছিলো এটিই। দীর্ঘ ১৬ বছরে দর্শকদের ব্যাপক ভালোবাস কুড়িয়েছে এ সিনেমা হলটি। এ সময়ে দেশে আরো অনেক অত্যাধুনিক সিনেমা হল হয়েছে। স্টার সিনেপ্লেক্সেরও বেশ কিছু শাখা হয়েছে। তবে দর্শক জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলো বসুন্ধরার এ শাখাটি।

তিনি আরো বলেন, এই সিনেমা হলে দেশ-বিদেশের অনেক গুণী তারকার পদচারণা পড়েছে। চলচ্চিত্র দেখতে এসেছেন অনেক গুণী মানুষ। চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের আড্ডায় মুখরিত থাকতো এ সিনেমা হল অঙ্গন। কিন্তু এখন আর কিছুই করার নেই। এই হলটির সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে, তাই হলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খু্ব কষ্ট লাগছে।

মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ আরো জানান, বর্তমানে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ সীমান্ত স্কয়ার শপিংমল ও মহাখালীস্থ এসকেএস টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্সের দুটি শাখা চালু রয়েছে। এছাড়া মিরপুরে সনি সিনেমা হলের জায়গায় যে নতুন শপিংমল করা হচ্ছে, সেখানেও তাদের একটি শাখা চালু করা হবে। পাশাপাশি বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ষোলশহরে অবস্থিত ফিনলে স্কয়ার শপিংমলে তাদের একটি শাখা চালু রয়েছে। যার নাম ‘সিলভার স্ক্রিন’।