দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভের রেকর্ড

মহামারি করোনাভাইরাসের এই সংকটকালেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করেছে। আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

রেকর্ড ৩৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেব করলে এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় দশ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় আগের তুলনায় বেড়েছে। পাশাপাশি জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার ৩০ কোটি ডলার যোগ হওয়ায় রিজার্ভ নতুন এই মাইলফলকে পৌঁছায়।

মহামারীর এই সংকটকালেও রিজার্ভে আরেকটি রেকর্ড হলো বলে যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শুধু আগস্ট মাসে মোট ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আর ২০১৯ সালের এই সময়ে সেই পরিমাণ ছিল ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার।

এ ছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিটেন্স এসেছে ২৬০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো এক মাসে সবচেয়ে বেশি। এর আগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল ২০১৯ সালের জুনে। সে সময় মোট ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছিল।

মূলত রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, জাইকা ও এআইআইবির ঋণ সহায়তাও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, গত পাঁচ মাসে এই দাতা সংস্থাগুলোর দেয়া প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা যোগ হয়েছে রিজার্ভে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২৪ জুন সেই রিজার্ভ আরো বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেটি আবারও বাড়ে। ৩০ জুন রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এর এক মাস পর গত ২৮ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলার এবং ১৭ আগস্ট ৩৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল।