মারা গেলেন ইমামও, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা গেছেন মসজিদটির ইমাম আব্দুল মালেক (৬০)। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ

ইমামের সঙ্গে একই সময়ে মারা যান এ বিস্ফোরণে দগ্ধ মিজান (৩৪) নামের আরো এক মুসল্লি। এ নিয়ে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। এ ছাড়া এখনো শেখ হাসিনা বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন আরো ১৭ জন। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল। তিনি জানান, বিস্ফোরণে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সবাই গভীরভাবে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

এর আগে এ ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা যান মুয়াজ্জিন ও এক শিশুসহ ১৮ জন। এদের মধ্যে বাহারউদ্দিন (৫৫) নামের একজন মারা যান সন্ধ্যা ৭টায়। তার আগে বিকেলের দিকে মারা যান কাঞ্চন হওলাদার (৫৩), রাসেল (৩৪) ও মো. নয়ন (২৭) নামের তিনজন।

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ

মৃত অন্যরা হলেন- মসজিদের মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮), রিফাত (১৮), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), জামাল (৪০), জয়নাল আবেদিন (৪০), মোস্তফা কামাল (৩৪), সাব্বির (২১), হুমায়ুন কবির (৭০), রাশেদ (৩৪), জুবায়ের (১৮), জুনায়েদ (১৭), ইব্রাহিম (৪৩) এবং ১২ বছর বয়সী মাইনুদ্দিন ও ৭ বছর বয়সী জুয়েল।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় প্রথম শিশু জুয়েল মারা যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় বাকিরা ইন্তেকাল করেন।

গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তখন এশার নামাজের জামাত মাত্র শেষ হয়েছে। এতে নামাজ পড়তে আসা অন্তত ৪০ জন মুসল্লি দগ্ধ হন। পরে গুরুতর আহত ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে, একটি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এবং অন্যটি তিতাস গ্যাসের পক্ষ থেকে।