কান্না থামাতে পারলেন না শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে যে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তার কথা বলতে গিয়ে কান্না থামাতে পারেননি স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমান। শনিবার দিবাগত রাতে একটি বেসরকারি টিভির টকশোতে অংশ নেন তিনি। এ সময় হৃদয় বিদারক ওই ঘটনায় নিহতদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

কেঁদে ফেললেন শামীম ওসমান

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে (এশার নামাজের সময়) ওই মসজিদে থাকা ছয়টি এসির একসঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। পরে তাদের সবাইকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শেষ খবর পর্যন্ত এক শিশু, ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।

বেসরকারি টেলিভিশনের ওই টকশোতে প্রশ্ন করা হয়- বিস্ফোরণের ঘটনায় এত মৃত্যুর দায় কার? এর জবাবে ওই আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, ‘আপনি দায়ের কথা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে যখন আমি রওনা দিলাম, তখন শুলনাম, ১১ জন (মৃত্যু হয়েছে)। আর বাড়িতে আসতে আসতে তা হয়ে গেল ১৮ জন।’

বিস্ফোরণের পর তল্লা জামে মসজিদ

তিনি বলেন, কীভাবে আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি দেব? আমি সেটা সঠিক জানি না। এটা তো আমার এলাকা, সেখানকার সব মানুষকে আমি চিনি। জুবাইর নামে ছোট্ট একটা বাচ্চা, মাত্র সাত বছরের শিশু বাচ্চা। সুন্দর চেহারা তার, বাবার সঙ্গে নামাজ পড়তে যায়, যাওয়ার সময় মাকে বলে যায়, ‘মা টিভি বন্ধ করো না, এসে দেখব’ (এটা বলেই কাঁদতে থাকেন তিনি)।

উল্লেখ্য, পরবর্তীতে বলা হচ্ছে, এসি বিস্ফোরণে নয়, বরং গ্যাসের পাইপলাইনে থাকা দীর্ঘদিনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমা হয়ে তা থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে প্রকৃত ঘটনা জানতে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।