সংকট কাটিয়ে স্বস্তিতে ফিরছে রপ্তানি আয়

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করেছে দেশের অর্থনৈতিক খাত। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু আগস্ট মাসেই রপ্তানি আয় বেড়েছে ১ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি।

তৈরি পোশাক খাত

আজ রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদকৃত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়, করোনার কারণে স্থগিত ও বাতিল হয়ে যাওয়া তৈরি পোশাক খাতের ক্রয়াদেশ আবারও ফিরে এসেছে। এর ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে রপ্তানি আয় বেড়েছে। বিভিন্ন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খুলতে শুরু করাতেই রপ্তানি আদেশ আবার ফিরতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, নতুন অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬৮১ কোটি মার্কিন ডলার ধরা হয়েছিল, বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৮৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১ শতাংশ, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের এই সময়ে আয় হয়েছিল ৬৭৩ কোটি ২১ লাখ ডলার।

যদি একক মাস হিসাব করা হয়, তাহলে শুধু আগস্টে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৯৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং আগের বছরের একই সময়ে চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি।

মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৮৫ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। গত দুই মাসে এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৫৭১ কোটি ২৯ লাখ ডলার। আর গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৫৭১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আয় ১৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, গত বছর এই অঙ্কটা ছিল ১৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।

কৃষিপণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। বিপরীতে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি, আর গত বছর একই সময়ে এ খাতে আয়ের পরিমাণ ছিল ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৯ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, বিপরীতে আয় হয়েছে ১৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।