দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে

দেশে স্বাক্ষরতার হার এক বছরের ব্যবধানে আবারো বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক বছরের ব্যবধানে স্বাক্ষরতার হার শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। আগের বছর এই হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার কারণেই দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়ে এই পর্যায়ে এসেছে দাবি করে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে স্বাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ৫৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর বর্তমানে শেখ হাসিনার আমলে তা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে স্বাক্ষরজ্ঞান দেয়া হয়েছে হয়েছিল উল্লেখ করে জাকির হোসেন বলেন, এই অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা পুরস্কার লাভ করেছিল।

স্বাক্ষরতার হার এক বছরের ব্যবধানে আবারো বেড়েছে

তিনি বলেন, বর্তমানে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় দেশের ২৫০টি উপজেলার ১৫-৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে স্বাক্ষরজ্ঞান দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ১৩৪টি উপজেলায় শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জনকে স্বাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে আরো ২১ লাখ মানুষকে এই সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনো অনেক শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে আছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় তাদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে বিদ্যালয়ের বাইরের ৮-১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হবে।