ভাসানচরে মুগ্ধ রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা

নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য গড়ে তোলা আবাসন প্রকল্পের অবকাঠামো ও সামগ্রিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সেখানে যাওয়া ৪০ সদস্যের একটি রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল। আজ রোববার সারাদিন সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রকল্প এলাকার একাংশ ঘুরে দেখেন তারা। আগামীকাল বাকি অংশ ঘুরে দেখার কথা রয়েছে। এরপর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরে গিয়ে অন্যান্যদের মাঝে এসব বর্ণনা করবেন তারা।

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিদল

জানা গেছে, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শনিবার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে এই প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম পৌঁছায়। সেখান থেকে সমুদ্রপথে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সন্ধ্যার দিকে ভাসানচরে এসে অবস্থান নেন। আজ সকাল থেকে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ৪০ জন রোহিঙ্গা নেতা প্রকল্পটির অবস্থা, পরিবেশ এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

ভাসানচরের আবাসন প্রকল্প খুব ভালো লেগেছে জানিয়ে প্রতিনিধিদলের এক সদস্য মোহাম্মদ হারুন বলেন, এখানে মসজিদ, শিশুদের জন্য স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, খেলার মাঠ ছাড়াও প্রতিটি প্রকল্পের ভেতর পুকুরও রয়েছে। সাগরের মাঝে পুকুরের পানি খুবই সুস্বাদু, যা অকল্পনীয়।

ভাসানচর প্রকল্প

তার মতো দলের অধিকাংশ সদস্য আবাসন প্রকল্পের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট বলে এ সময় জানান উখিয়ার ১০১৭ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ও প্রতিনিধিদলের এই সদস্য।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ভাসানচর পরিদর্শন করানোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- সেখানে গড়ে তোলা আবাসন প্রকল্প দেখে এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অবহিত হয়ে তারা ফিরে এসে অন্যদের বোঝাবে। এতে করে বাকিরা ভাসানচরে যেতে রাজি হবে বলে প্রত্যাশা সরকারের।