আপনি পড়ছেন

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা ও নির্যাতন চালানোর বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মিয়ানমারের দুই জন সৈনিক। আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফরটিফাই রাইটস।

Rohinga camp bdকক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প

সৈনিক দুই জন হলেন- মিও উইন তুন (৩৩) এবং জ নায়েং তুন (৩০)। তারা আইসিসিকে বলেছেন, ২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের সময়ে সৈনিকদের প্রতি নির্দেশ ছিল, 'কোনো রোহিঙ্গাকে দেখলেই তাকে গুলি করবে'।

সে সময় নারী, শিশুসহ নিরীহ মানুষদের হত্যা, গণকবরে মাটিচাপা দেয়া এবং ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন এই দুই সৈনিক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে তারা ভবিষ্যতে মামলায় কাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া আইসিসির বিভিন্ন ধরনের সাক্ষী সুরক্ষার নিয়ম আছে। সেটির অধীনে এ ধরনের সাক্ষীদের সব ধরনের সুরক্ষা দেয়া হয়ে থাকে।

গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ছয় জন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাসহ আরো ১৯ জন ব্যক্তির নাম আদালতকে জানান তারা। ওই ছয় জন সেনা কর্মকর্তার নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন পরিচালিত হয়েছিল।

icc court logo

মিও উইন তুন স্বীকারোক্তিতে জানান, কর্নেল থান থাকি রোহিঙ্গাদের সমূলে হত্যার নির্দেশ দেয়ার পর সৈনিকরা তাদের কপালে গুলি করে এবং লাথি মেরে কবরে ফেলে দিতো। রাখাইনের বুথিডং অঞ্চলে কয়েকটি গ্রাম ধ্বংস করা, ৩০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকা এবং আরো ৬০-৭০ জন রোহিঙ্গা হত্যার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।

জ নায়েং তুন জানান, রাখাইনের মংদু টাউনশিপে অন্তত ২০টি গ্রাম ধ্বংস করা এবং ৮০ জন রোহিঙ্গা হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া সার্জেন্ট পায়ে ফোয়ে অং এবং কিয়েত ইয়ু পিন তিন জন রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণ করেছে। যার প্রধান সাক্ষী তিনি।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.