এরদোয়ানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান এবং দেশটির ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ সোমবার বিকালে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান

আঙ্কারায় কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগ্লু। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসছেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন, তা জেনে আমি আনন্দিত হয়েছি। আমি তাকে স্বাগত জানাই। আমরা আপনার আসার অপেক্ষায় থাকব।

আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আরো বেশি আনন্দিত হব, যদি তুর্কি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করেন। দয়া করে আমার শুভেচ্ছা ও আমন্ত্রণের বার্তা প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির কাছে পৌঁছে দেবেন।

এর আগে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে বাংলাদেশে এসেছিলেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান।

সে কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল, আমার মনে আছে- তখন ফার্স্ট লেডি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কক্সবাজার পরিদর্শন করেছিলেন। আমার মনে হয়, তিনি প্রথম কক্সবাজার পরিদর্শন করেছিলেন। দুই জনকেই আমার আমন্ত্রণ।

এ ছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্ক ভূমিকা রাখায় এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানোয় তুর্কি নেতৃত্বের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে তুর্কি সরকার ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করতে আগ্রহী। তাছাড়া দুই দেশের সম্পর্কের শিকড় অনেক গভীরে। প্রায় ৫০ বছর আগে ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আঙ্কারার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু। আর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে এই সম্পর্কের শুরু হয়েছে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে তুর্কি জেনারেল ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির বাংলা জয়ের মধ্য দিয়ে।

তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ছিল- 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়'। তার দেয়া এই নীতিই এখন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলনীতি।

২০১২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে আঙ্কারা সফরের কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আঙ্কারায় অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণে তুর্কি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা প্রশংসনীয়।