ইরানের ভয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক করতে দ্বিধাগ্রস্ত ওমান

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের দেখানো পথ অনুসারে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় ওমান সরকারও। কিন্তু এ পদক্ষেপ নিলে ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে তারা এখনো দ্বিধাগ্রস্ত।

ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ বিন আলওয়ি বিন আবদুল্লাহ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাবেদ জারিফ

গতকাল সোমবার আবুধাবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সাময়িকী হাইম এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সেখানে বলা হয়, ওমান একমাত্র উপসাগরীয় দেশ, যাদের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক রয়েছে। বাহরাইনও প্রথমদিকে ইরানের প্রতিক্রিয়ার শঙ্কায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে একমত হতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। কারণ তাদের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশই শিয়া সম্প্রদায়ের।

কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত যখন ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করার ঘোষণা দিলো তখন বাইরাইনও একই পদক্ষেপ নিয়েছে। সুতরাং অন্যান্য আরব দেশও শিগগিরই একই পদক্ষেপ নেবে বলে দাবি করেছে গণমাধ্যমটি।

আরব কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে তারা এটাও দাবি করেছে যে, ফিলিস্তিনের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হবে না সৌদি আরব।

ওমানের সুলতান হইথাম বিন তারিক

এর আগে সম্প্রতি ইসরায়েলের গোয়েন্দা মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ওমানও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে। যদিও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তারা।

মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়, ২০১৮ সালে ওমান সফরকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওমানের তৎকালীন নেতা সুলতান কাবুসের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

কূটনীতিকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ওমান এখনো তার নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে। ফলে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানসহ আঞ্চলিক শত্রুদের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পেরেছে।