আজারবাইজানের একাধিক ড্রোন ধ্বংসের দাবি আর্মেনিয়ার

চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আজারবাইজানের চারটি ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে আর্মেনিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী ইয়েরেভানের অদূরে অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল দিয়ে ড্রোনগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আর্মেনিয়া সরকার।

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘর্ষ। ছবি- সংগৃহীত

আর্মেনিয়ার অভিযোগ, আজারবাইজান ওই ড্রোনগুলো দিয়ে বোমা পাঠিয়েছিল। যা দিয়ে রাজধানী ইয়েরভানে হামলা করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু হামলা করার আগেই রাজধানীর অদূরে ড্রোনগুলোকে অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি আজারবাইজান।

এর আগে গত বুধবার বিপজ্জনকভাবে আর্মেনিয়ার আকাশ সীমায় ঢুকে পড়েছিলো তুরস্কের একটি যুদ্ধবিমান। তারও আগে গত মঙ্গলবার আর্মেনিয়ার একটি যুদ্ধ বিমানকে তুরস্ক ধ্বংস করেছিল বলে অভিযোগ করেছে ইয়েরেভান। তুরস্ক এ সংঘাতে ইন্ধন ও আজারবাইজানকে সাহায্য করছে বলেও ওইদিন থেকে অভিযোগ করে আসছে আর্মেনিয়া।

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘর্ষ। ছবি- সংগৃহীত

দেশটির বক্তব্য, আজারবাইজানকে যুদ্ধবিমান দেওয়াসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করছে তুরস্ক। বিতর্কিত নাগরানো-কারাবাখ অঞ্চলে সিরিয়ার যোদ্ধাদের পাঠানোরও ব্যবস্থা করেছে দেশটি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তুরস্ক। কিন্তু আজ দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আজারবাইজানকে সকল ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবে তারা।

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গোটা বিশ্ব আজারবাইজান ও আর্মেনিয়াকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও এতে সাড়া দেয়নি কোনো দেশ। ফলে দুই দেশের মধ্যকার যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই আরো জটিল হয়ে উঠছে এবং প্রতিদিন সেটি আরো কঠিন আকার ধারণ করছে।

গত রোববার থেকে বিতর্কিত নাগরানো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। দুই দেশের সেনাদের মধ্যে এখনো এই যুদ্ধ চলমান রয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের সেনাসহ শতাধিক বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন কয়েক শ।